NASA’s TEMPO: দূষণ নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত NASA-র, মহাকাশে যাচ্ছে ‘TEMPO’

SpaceX Launches NASA’s TEMPO: ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) একটি যন্ত্র তৈরি করেছে, যা বিজ্ঞানীদের মহাকাশ থেকে বায়ুর গুণমান সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দেবে।

NASA’s TEMPO: দূষণ নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত NASA-র, মহাকাশে যাচ্ছে 'TEMPO'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2023 | 3:21 PM

TEMPO Air Quality Monitoring Instrument: মহাজাগতিক যে কোনও রহস্যের সমাধান করা মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবার চলতি বছরের মে মাসে মহাকাশে টেম্পো (TEMPO) উৎক্ষেপণ করতে চলেছে। এটি একটি স্যাটেলাইট। TEMPO-এর পুরো নাম ট্রপোস্ফেরিক এমিশন মনিটরিং অফ পলিউশন ইন্সট্রুমেন্ট। এর আগে বলা হচ্ছিল এপ্রিলের শুরুতে কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। তবে এখন এটি আগামী মাসে চালু হতে পারে। ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) একটি যন্ত্র তৈরি করেছে, যা বিজ্ঞানীদের মহাকাশ থেকে বায়ুর গুণমান সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দেবে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা, এলন মাস্কের সহযোগিতায়, 7 এপ্রিল TEMPO নামে একটি এয়ার কোয়ালিটি মনিটর চালু করেছে।

এই মনিটর কেন উৎক্ষেপণ করা হবে?

NASA-র রিপোর্ট অনুযায়ী, TEMPO হল প্রথম মহাকাশ-ভিত্তিক যন্ত্র যা প্রতি ঘন্টায় চার বর্গমাইল বড় বায়ু দূষণকারী জায়গাকে নিরীক্ষণ করবে। মার্কিন স্পেস এজেন্সি টুইটারে পোস্ট করে জানিয়েছে, TEMPO উত্তর আমেরিকার প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গুণমানের রিপোর্ট দেবে। এটি তিনটি প্রধান দূষণকারীর উপর নজর রাখবে এবং শহরের ক্রমবর্ধমান দূষণ সম্পর্কে সতর্কতা দেবে।

কোন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে TEMPO?

টেম্পোর প্রধান কাজ হবে তিনটি প্রধান দূষণকারী উপাদানের ডেটা তৈরি করা। তার মধ্যে প্রথম হল- নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, দ্বিতীয় হল- ফর্মালডিহাইড এবং তৃতীয় হল- ওজোন। নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড একটি বিষাক্ত গ্যাস, যা জ্বালানী পোড়ানোর মাধ্যমে নির্গত হয়। এ কারণে মানুষের শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিও হয়। ফর্মালডিহাইড হল পেইন্ট, আঠা এবং পেট্রলের একটি উপজাত। এতে চোখের সমস্যা ও ক্যান্সারের মতো সমস্যা হয়। ওজোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেবে।

TEMPO কীভাবে এই কাজ করবে? এতে এমন কোন ধরনের বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে?

NASA-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, টেম্পোতে বিশেষ যন্ত্র বসানো হয়েছে, যা দিনের বেলায় অর্থাৎ আলোতে প্রতি ঘণ্টায় উত্তর আমেরিকার ওপর দিয়ে যাবে। এটি প্রতিবার 10 বর্গকিলোমিটার এলাকার বায়ু দূষণের মাত্রা রেকর্ড করবে। এটি আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর এবং মধ্য কানাডা থেকে মেক্সিকো সিটি পর্যন্ত যাতায়াত করবে। এটিকে বল অ্যারোস্পেস দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। দেখতে অনেকটা বড় ওয়াশিং মেশিনের মতো।

দূষণের পাশাপাশি রোগের দিকে নজর রাখতেই কী নাসার এই পদক্ষেপ?

টেম্পোর নাসা প্রোগ্রামের বিজ্ঞানী ব্যারি লেফার বলেন, “এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আমরা প্রতি ঘণ্টায় উত্তর আমেরিকার দূষণের সঠিক অবস্থা জানতে পারব। আর শুধুই বায়ু দুষণের দিকে নজর রাখা ছাড়াও, কতটা দূষণে কোন কোন রোগ ছড়ায়, দীর্ঘস্থায়ী রোগের ধরন কী-কী? এসবও জানা যাবে।”