Murshidabad: ‘কেন্দ্র মালদহ-মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত করার দিকে এগোচ্ছে…’, দাবি মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়কের
Murshidabad: বিধায়কের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সাময়িক প্রতিবাদ করলেও আত্মসমর্পণ করতে হবে। চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি এও দাবি করেছেন, কেন্দ্র মালদহ-মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত করার দিকে এগোচ্ছে।

মুর্শিদাবাদ: রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদে হিংসা হবে। ওয়াকফ বিল পাল হলেও মুর্শিদাবাদে আগুন জ্বলতে পারে। ঠিক এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সাময়িক প্রতিবাদ করলেও আত্মসমর্পণ করতে হবে। চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি এও দাবি করেছেন, কেন্দ্র মালদহ-মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত করার দিকে এগোচ্ছে।
ঠিক কী দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক?
বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত। সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট দেখে আমরা আশঙ্কা করছি, রামনবমী নিয়ে কিংবা ওয়াকফ বিল নিয়ে মুর্শিদাবাদে আবারও অশান্তি হতে পারে। অনুমান করছি। মানুষ মিথ্যা প্ররোচনায় পা দিয়ে আবার না হিংসায় জড়িয়ে পড়ে। আমরা তো মুর্শিদাবাদে সংখ্যালঘু।”
আর এই গোটা বিষয়টির কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “মাত্র ২৭ শতাংশ হিন্দু রয়েছে মুর্শিদাবাদে। লড়াই করে বেঁচে থাকতে পারবে না। প্রতিবাদ হয়তো করে থাকব, সাময়িকভাবে। কিন্তু একটা সময়ে আত্মসমর্পণ করতেই হবে। একটা বিকল্প রয়েছে, যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করা মুর্শিদাবাদ-মালদহকে বাঁচান।”
মালদহ-মুর্শিদাবাদকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা কিংবা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানিয়ে চিঠি করেছেন বলে জানান বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমরা বারবার আবেদন করেছি, ইউটি করা হোক। এই দুই জেলাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক। আমাদের কাছে খবর, আগামী দিনে ইউটি হওয়া অসম্ভব কিছু নেই। আমি আবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি করব।”
এদিকে এই বিষয়টা নিয়ে ভরতপুরে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ন কবীর বলেন, “উনি আগে একবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। উনাকে বলুন, মাসে এক ডজন করে চিঠি কেন্দ্রকে পাঠাক, তবুও কেন্দ্র ওর চিঠির কোনও গুরুত্ব দেবে না। ওকে কেউ চমকায় না, ধমকায় না। গৌরীর আশঙ্কা অমূলক। জেলার মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হলেও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষ সাংসদ হন, অধীররঞ্জন চৌধুরী, প্রমোতেশ মুখোপাধ্যায়রা দীর্ঘদিন ধরে সাংসদ হন, গৌরী ঘোষের মতো লোক বিধায়ক হন। সুতরাং আশঙ্কা অমূলক।”





