Marsquakes: মঙ্গলগ্রহে কম্পন! ইনসাইট ল্যান্ডারের সিসমোমিটারে ধরা পড়ল দু’টি কম্পন, তীব্রতা কত জানেন?

Marsquakes: বলা হচ্ছে এ যাবৎ মঙ্গলগ্রহে যত কম্পন রেকর্ড করা হয়েছে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই নতুন দুই কম্পনের তীব্রতা।

Marsquakes: মঙ্গলগ্রহে কম্পন! ইনসাইট ল্যান্ডারের সিসমোমিটারে ধরা পড়ল দু'টি কম্পন, তীব্রতা কত জানেন?
মঙ্গলগ্রহে অনুভূত হয়েছে কম্পন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2022 | 11:00 AM

মঙ্গলগ্রহে কম্পনের (Marsquake) তীব্রতা পরিমাপ করেছে নাসার (NASA) ইনসাইট ল্যান্ডারে (Insight Lander) থাকা সিসমোমিটার। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এ যাবৎ সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনের মাত্রা অনুভূত হয়েছে। একটি নয়, দু’টি কম্পনের তীব্রতা পরিমাপ করেছে নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার। সিসমোমিটারে এই দুই কম্পনের মাত্রা যথাক্রমে ৪.২ এবং ৪.১। এর আগে মঙ্গলগ্রহের যে বৃহত্তর সিসমিক ইভেন্ট রেকর্ড করা হয়েছিল তার থেকে এই নতুন দুই কম্পনের মাত্রা প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। বিজ্ঞানীদের আশা এই দুই কম্পনের বিভিন্ন ডেটা পর্যবেক্ষণ করে হয়তো এবার লালগ্রহের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে বিশদে জানা যাবে। এমনিতেই মঙ্গলগ্রহে অতীতে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা সেই খোঁজ অনেকদিন ধরেই চালাচ্ছে নাসা। এর পাশাপাশি পৃথিবীর মতো মঙ্গলগ্রহও কোনওদিন মনুষ্য বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারে কিনা সেই সন্ধানও চলছে। তাই এই কম্পনের থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে মঙ্গলগ্রহের অভ্যন্তর সম্পর্কে জানা বিশেষ প্রয়োজন।

এমনিতে ভূমিকম্পের মাত্রা বা তীব্রতা পরিমাপ এবং পর্যবেক্ষণ করা হয় রিখটার স্কেলের সাহায্যে। তবে মার্স-কোয়েক বা মঙ্গলগ্রহের কম্পনের তীব্রতা মাপা হয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডারের মধ্যে থাকা সিসমোমিটারের নির্দিষ্ট স্পেকট্রাল ম্যাগনিটিউড স্কেলের সাহায্যে। ৪.২ তীব্রতার যে কম্পন মঙ্গলগ্রহে অনুভূত হয়েছে তার উৎস খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। লালগ্রহের Valles Marineris এলাকায় এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। এটি আসলে মঙ্গলগ্রহের একটি বৃহৎ ক্যানিয়ন নেটওয়ার্ক। এর পাশাপাশি এই জায়গাকে সৌরজগতের অন্যতম বৃহৎ graben systems- ও বলা হয়। বিজ্ঞানীরা অনেকদিন আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন যে এই এলাকা কম্পন প্রবণ অর্থাৎ সিসমিকালি অ্যাক্টিভ বা সক্রিয়। এবার এই ৪.২ তীব্রতার কম্পন এই এলাকার সিসমিক অ্যাক্টিভিটির প্রথম প্রমাণ দিয়েছে।

দ্বিতীয় কম্পন অর্থাৎ যার তীব্রতা ৪.১, এই মার্স-কোয়েক রেকর্ড করা হয়েছে প্রথম কম্পনের ২৪ দিন পর। সিসমোলজিক্যাল সোসাইটি অফ আমেরিকা একটি বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে। প্রথম কম্পনের তুলনায় দ্বিতীয় কম্পন অনেকটা আলাদা বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এই দ্বিতীয় কম্পনে প্রথমবারের জন্য Pdiff waves ও small amplitude waves লক্ষ্য করা গিয়েছে যা আবার কোর-ম্যান্টেলের সীমানা অতিক্রম করেছে। নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার মিশনের মাধ্যমে লাগানো সিসমোমিটারেই এই দ্বিতীয় কম্পনও অনুভূত হয়েছে। তবে প্রথম কম্পনের মতো এই দ্বিতীয় কম্পনের উৎস এখনও বিজ্ঞানীরা খুঁজে পাননি। নির্দিষ্ট উৎসস্থল খোঁজার কাজ চলছে। তবে বিজ্ঞানীদের অনুমান মঙ্গলগ্রহের দূরবর্তী অংশে সম্ভবত এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রায় ৯৪ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল এই দ্বিতীয় কম্পন। এখনও পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহের সবচেয়ে বড় (সময় অনুসারে) রেকর্ডেড কম্পন এটি।

আরও পড়ুন- Mushrooms Talk To Each Other: মানুষের মতো ভাষার প্রয়োগ করেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলে মাশরুমরা, নতুন গবেষণায় অবাক করা তথ্য