Asteroid Psyche: আলুর মতো দেখতে এই গ্রহাণু পৃথিবীতে পড়লে মানুষ রাতারাতি বড়লোক হতে পারে
16 Psyche হল একটি 140 মাইল বা প্রায় 226 কিলোমিটার প্রশস্ত একটি গ্রহাণু, যার মধ্যে রয়েছে 10,000 কোয়াড্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের লোহা,নিকেল এবং সোনা রয়েছে। সেই কারণেই এই গ্রহাণু এত মূল্যবান, তা এতটাই বড় যে এই পৃথিবীর সব মানুষকে বড়লোক করে দিতে পারে।

Asteroid বা গ্রহাণু শব্দটা শুনলেই যেন অনেকের ভ্রুকুঞ্চিত হয়। অনেকেই ভাবতে থাকেন, মহাকাশ থেকে আসা এমন এক বিরাট পাথরের চাঁই যা পৃথিবীতে পড়লে বড়সড় কিছু ঘটতে পারে। পৃথিবীতে একদিন তো গ্রহাণু নেমে আসার ফলেই ডাইনোসররা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। গ্রহাণু সম্পর্কে মানুষের ধারণাটাই এমন যে, কেউ ভাবতে পারেন না এই স্পেস রক মানবজাতির ভালও করতে পারে। তবে কিছু এমন গ্রহাণুও রয়েছে, যেগুলি এই পৃথিবীতে এলে আমরা রাতারাতি বড়লোক হয়ে যেতে পারি। সেই গ্রহাণুটি সংগ্রহ করে আমরা যদি নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিই, তাহলে আমরা প্রত্যেকেই বড়লোক হয়ে যেতে পারি। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে তেমনই একটি বিরাট ধাতব গ্রহাণু রয়েছে, যার নাম 16 Psyche।
Forbes-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, 16 Psyche হল একটি 140 মাইল বা প্রায় 226 কিলোমিটার প্রশস্ত একটি গ্রহাণু, যার মধ্যে রয়েছে 10,000 কোয়াড্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের লোহা,নিকেল এবং সোনা রয়েছে।
এখন বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর পৃথিবীর গঠনের তুলনা করার চেষ্টা করছেন। তার জন্য Nasa একটি Psyche Mission-এর প্ল্যানিংও করেছে, যে প্রোগ্রামে ধাতু সমৃদ্ধ এই গ্রহাণুটি নিয়ে রিসার্চ করে দেখবেন গবেষকরা। চলতি বছরেই প্রোগ্রামটি শুরু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
Nasa-র তরফে বলা হয়েছে, মহাকাশের গ্রহাণু বেল্টের সবচেয়ে কৌতূহলী গ্রহাণুগুলির মধ্যে একটি হল এই সাইকি। বিশাল ধাতু সমৃদ্ধ এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর চেয়ে সূর্য থেকে প্রায় তিন গুণ দূরে অবস্থিত। এর গড় ব্যাস প্রায় 140 মাইল (226 কিলোমিটার), চাঁদের ব্যাসের এক-ষোল ভাগ বা লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান দিয়েগোর মধ্যে দূরত্বের প্রায় সমান।
মহাকাশ সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, Psyche একটি বিছিন্ন গ্রহের অংশবিশেষ হতে পারে। একটি ছোট শহর বা ছোট দেশের আকারের হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে এই গ্রহাণুটিকে একটি গ্রহের প্রথম বিল্ডিং ব্লক হিসেবেও দাবি করছেন গবেষকরা। যদি তা-ই হয়, তাহলে গ্রহাণু সাইকি পৃথিবীর মতোই অন্যান্য পার্থিব গ্রহগুলির অভ্যন্তরটি দেখতে পারে, যা সাধারণত ম্যান্টেল এবং ক্রাস্টের স্তরগুলির নিচে লুকানো থাকে।
পৃথিবীর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দৃশ্যমান এবং ইনফ্রারেড তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পাশাপাশি রাডার হিসেবেও সাইকি গ্রহাণুটিকে অধ্যয়ন করেছেন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, এই গ্রহাণুটি আকারে অনেকটাই আলুর মতো।
গ্রহাণুর নাম Psyche কীভাবে হল?
1852 সালের 17 মার্চ ইতালির জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যানিবেল দে গ্যাস্পারিস এই গ্রহীণুটি আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি এই গ্রহাণুটির নামকরণ করেছিলেন আত্মার গ্রীক দেবীর নামানুসারে। তিনি নশ্বর অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং প্রেমের দেবতা ইরোস (রোমান কিউপিড)-কে বিয়ে করেছিলেন।





