Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Most Lightning Strikes Lake: প্রতি মিনিটে বাজ পড়ে এই লক্ষ লক্ষ বছরের পুরনো হ্রদে, কারণ জানলে চমকে যাবেন

Latest Science News: আমেরিকান মেটিওরোলজিক্যাল সোসাইটি 2016 সালের নভেম্বরে একটি গবেষণা করেছিল। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মারাকাইবো হ্রদে বছরে প্রায় 297 দিন প্রতি মিনিটে প্রায় 25 থেকে 40 বার বজ্রপাত হয়।

Most Lightning Strikes Lake: প্রতি মিনিটে বাজ পড়ে এই লক্ষ লক্ষ বছরের পুরনো হ্রদে, কারণ জানলে চমকে যাবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2023 | 8:45 AM

Most Lightning Strikes Country: পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে, যেগুলি সম্পর্কে জানলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় হয়। তেমনই একটি আশ্চর্যজনক জায়গায় সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মারাকাইবো হ্রদ সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য সামনে এসেছে, যা শুনলে আপনি চমকে উঠবেন। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা বেশ আগেই জানিয়েছিল যে, এটি বিশ্বের প্রাচীনতম হ্রদগুলির মধ্যে একটি, যা 35 মিলিয়ন বছর ধরে তৈরি হয়েছে। এটি যে কোনও সাধারণ হ্রদের চেয়ে অনেক বড়। এই হ্রদটি 13,500 বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণায় দেখেছেন, এই হ্রদের পাদদেশে অনেক কিছু পুরনো জিনিস জমে আছে, যা এই জায়গাটিকে বিশেষ করে তুলেছে। এই বিশেষ হওয়ার পিছনের সবচেয়ে বড় কারণ হল এই হ্রদের উপর সারা বছর বজ্রপাত হয়।

প্রতি মিনিটে বিদ্যুৎ চমকায়:

আমেরিকান মেটিওরোলজিক্যাল সোসাইটি 2016 সালের নভেম্বরে একটি গবেষণা করেছিল। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মারাকাইবো হ্রদে বছরে প্রায় 297 দিন প্রতি মিনিটে প্রায় 25 থেকে 40 বার বজ্রপাত হয়। এই আলো এত বেশি যে স্থানীয় লোকজনের রাতে বাড়িতে আলো জ্বালানোর প্রয়োজন পড়ে না। এর আগে আফ্রিকার কঙ্গো বেসিনে এই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। বিশ্বের অনেক পাহাড়ি এলাকায়ও এমন হত। কিন্তু গবেষণার পর দেখা গিয়েছে, বজ্রপাতের দিক থেকে কেউ এই ভেনেজুয়েলার হ্রদের ধারে কাছেও আসেনি।

কেন প্রতি মিনিটে এমনভাবে বজ্রপাত হয়?

এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। কিছু বিজ্ঞানীর মতে, সারা বছর বজ্রপাত আর্দ্রতা, তাপমাত্রা এবং অবস্থানের কারণে হয়। হ্রদের দক্ষিণে আন্দিজ পর্বতমালা, উত্তরে ক্যারিবিয়ান সাগর। পাহাড় থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাস সমুদ্র থেকে আসা উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে এমন হয়। বিদ্যুৎ তৈরির জন্য এই জায়গাটি আদর্শ। অনেক বিজ্ঞানী এই কারণকে মেনে নেননি। তাঁদের মতে, লাখ লাখ বছরে হ্রদে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, যার কারণে এর তলদেশে মিথেন গ্যাস জমেছে। যখন এই গ্যাস উপরের দিকে উঠে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসের সঙ্গে মিশে যায় তখন এটি ঘটে।

এই ঘটনার আসল কারণ জানার জন্য অনেক গবেষণা করা হয়েছে দিনের পর দিন। এমনকি বর্তমানেও বিজ্ঞানীরা এই রহস্য বোঝার জন্য অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ জুলিয়ার সায়েন্টিফিক মডেলিং সেন্টার একটি মনিটরিং সিস্টেম তৈরি করেছিল, যাতে এর কারণ জানা যায়। তার হ্রদের উপর কী ধরনের পরিবর্তন ঘটছে, তাও বোঝা যায়। কিন্তু তাতেও তেমন কিছুই উঠে আসেনি।