Coronavirus In Deer: এবার হরিণের শরীরে থাবা বসাল করোনা, উদ্বেগে মার্কিন মুলুকের বিজ্ঞানীরা
Coronavirus In White-Tailed Deer: বিজ্ঞানীরা উত্তর আমেরিকার (America) সাদা-লেজযুক্ত হরিণগুলিতে (Deer) করোনভাইরাসের একটি ভেরিয়েন্ট খুঁজে পেয়েছেন। ভ্য়ারিয়েন্টটি হল SARS-CoV-2, যা একসময় মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছিল।
Latest Science News: করোনাভাইরাস (Coronavirus) যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা মানুষ দেখে নিয়েছে। হাসপাতালে জায়গার কমতি থেকে শুরু করে নদীর জলে মৃতদেহ ভেসে যাওয়া, কোনও কিছুই মানুষ ভুলতে পারেনি। আর কোনও রকমে সব একটু স্বাভাবিক হতেই বিজ্ঞানীরা (Scientists) নতুন তথ্য় দিলেন। বিজ্ঞানীরা উত্তর আমেরিকার (America) সাদা-লেজযুক্ত হরিণগুলিতে (Deer) করোনভাইরাসের একটি ভ্যারিয়েন্ট খুঁজে পেয়েছেন। ভ্যারিয়েন্ট হল SARS-CoV-2, যা একসময় মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু এখন আর মানুষের মধ্যে এটি পাওয়া যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেছেন যে, এই প্রাচীন মোটিফগুলি হরিণগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে উপস্থিত ছিল কিনা তা এখনও অজানা। তবে এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গবেষণা জার্নাল ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’-এ এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
কর্নেল ইউনিভার্সিটির সহ অধ্যাপক ডিয়েগো ডিলে বলেন, “এই গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, মানুষের সংস্পর্শে এসে প্রানীরাও করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করা। কিন্তু ফলাফল দেখে আমরা অবাক। যা অনুমান করেছিলাম সেটিই ঠিক হয়েছে। আর এই বিষয়টি আমাদের উদ্বেগ করেছে। CoV-2 মানুষের সংস্পর্শেই ওদের শরীরে এসেছে। সম্ভবত শিকার, বন্য প্রাণীদের খাওয়ানো বা জলের উত্সের মাধ্যমে ওদের দেহে প্রবেশ করেছে।
ডিয়েগো ডিল জানান, মানুষের মধ্যে থাকা উদ্ভূত একটি ভাইরাস এখন উত্তর আমেরিকার বন্যপ্রাণীতে পাওয়া গিয়েছে। গবেষণায় 5,700টি নমুনা ব্যবহৃত হয়েছে। যা 2020-22 সালে সংগ্রহ করা হয়েছিল। গবেষকরা যখন হরিণে পাওয়া জিনোমিক সিকোয়েন্সিংকে মানুষের সিকোয়েন্সিংয়ের সঙ্গে তুলনা করেন তখন তারা দেখতে পান হরিণে যে ভাইরাসটি রয়েছে, তা নিউ ইয়র্কের মানুষের মধ্য়েই ছিল।
সমীক্ষা অনুসারে, ভাইরাসের ভেরিয়েন্টটি কয়েক মাস ধরে হরিণগুলির শরীরে উপস্থিত ছিল। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, আলফা এবং গামার রূপের উপস্থিতি হরিণের মধ্যে জানা গেলেও মানুষের মধ্যে এই রূপগুলির কোনও প্রমাণ ছিল না। ডিল বলেন, “আমরা যখন সাদা লেজের হরিণে পাওয়া ভাইরাসের ক্রমকে মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাসের ক্রমটির সঙ্গে তুলনা করি, তখন আমরা দেখতে পাই যে ভাইরাসের ক্রমটি পরিবর্তিত হয়ে হরিণের শরীরে ধুকেছে।” বিজ্ঞানীরা নতুন তথ্য়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে প্রানীদের শরীরে এই ভাইরাসের প্রভাব বাড়তে থাকলে ভয়ানক বিপদ নেমে আসবে সম্পূর্ণ প্রানীকুলে।