Unborn Babies: যে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়নি, তার শরীরেও বিষাক্ত দূষণকারী, গবেষণায় মিলল প্রমাণ

Toxic Air Pollutants In Unborn Babies: গর্ভস্থ শিশুদের স্বাস্থ্য ও তাতে বায়ুদূষণের প্রভাব নিয়ে ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, গর্ভস্থ শিশুদের বিকাশমান ফুসফুস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে বিষাক্ত দূষণকারীর সন্ধান মিলেছে।

Unborn Babies: যে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়নি, তার শরীরেও বিষাক্ত দূষণকারী, গবেষণায় মিলল প্রমাণ
'এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য' করে তুলতে পারব তো আমরা? প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2022 | 11:00 PM

Toxic Air Pollutants: “যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুম: সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক…।” সে কথা বলেছিলেন কবি। কিন্তু যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল না, তার কথা কবি বলে যাননি। বলে গেলেন আজকের বিজ্ঞানীরা। মায়ের পেটে থাকা সন্তানের স্বাস্থ্য ও তার বিকাশকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে বায়ুদূষণ। গর্ভস্থ শিশুদের স্বাস্থ্য ও তাতে বায়ুদূষণের প্রভাব নিয়ে এমনই আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায়। সেখানে বলা হয়েছে, গর্ভস্থ শিশুদের বিকাশমান ফুসফুস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিতে বিষাক্ত দূষণকারীর সন্ধান মিলেছে।

গর্ভস্থ শিশুর আজীবন স্বাস্থ্যের ভয়ঙ্কর পরিণতির কারণ হতে পারে বায়ুদূষণ: গবেষণা

গবেষকদের জানিয়েছে, প্রতি ঘন মিলিমিটার টিস্যুতে হাজার হাজার কালো কার্বন কণা সনাক্ত করা গিয়েছে। কণাগুলি সম্ভবত গর্ভাবস্থায় মায়ের দ্বারা শ্বাস নেওয়া হয়েছিল এবং সঞ্চালন ও প্ল্যাসেন্টার মাধ্যমে ভ্রূণে স্থানান্তরিত হয়েছিল। অধ্যয়নটি সরাসরি প্রমাণ দেয় যে, কীভাবে এই পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দূষণ বাচ্চাদের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের দিকে ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

কোথা থেকে আসছে এই বিষাক্ত কণা

গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ক্ষতিকারক কণাগুলি অটোমোবাইল, বাসস্থান এবং শিল্পের জীবাশ্ম জ্বালানির দহন থেকে তৈরি হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, গবেষণাটি স্কটল্যান্ড এবং বেলজিয়ামে ধূমপান করেননি এমন মায়েদের উপর করা হয়েছিল। দুই দেশেই বায়ুদূষণের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। এবার ভেবে দেখুন, এই পরীক্ষা যদি দিল্লিতে চালানো হয়?

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জোনাথন গ্রিগ, যিনি 2018 সালে প্ল্যাসেন্টায় বায়ুদূষণের কণা আবিষ্কার করেছিলেন, বলছেন, সর্বশেষ গবেষণাটি চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করেছে বিষাক্ত কণাগুলি ভ্রূণের শরীরে প্রবেশ করে। গ্রিগ বলেন, “ভ্রূণের মস্তিষ্কে কণা ঢুকতে দেখে ঝুঁকি বেড়ে যায়। কারণ, এটি সন্তানের জন্য আজীবন পরিণতি বহন করে।”

ভ্রূণের মস্তিষ্কে পাওয়া বিষাক্ত দূষণ আরও উদ্বেগজনক: সহ-লেখক

এই গবেষণাপত্রের সহ-লেখক পল ফাউলার বলছেন, “আমরা প্রথমবারের মতো দেখিয়েছি যে, কালো কার্বন ন্যানো পার্টিকেলগুলি শুধুমাত্র প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের প্লাসেন্টায় প্রবেশ করে না। কিন্তু তারপরে বিকাশমান ভ্রূণের অঙ্গগুলিতেও তারা ঢুকে পড়ে।” আরও ঝুঁকির কথা বলে তিনি যোগ করলেন, “উদ্বেগের বিষয় হল যে, এই কণাগুলি বিকাশমান মানুষের মস্তিষ্কেও প্রবেশ করে।”

বিশ্ব জনসংখ্যার 90% বায়ুদূষণের সংস্পর্শে: WHO

WHO অনুমান করে যে, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার 90% এমন জায়গায় বসবাস করে যেখানে বায়ু দূষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নির্দেশিকাগুলির উপরে। এর ফলে, প্রতি বছর লক্ষ লক্ মানুষের মৃত্যু হয়। গত বছর পর্যন্ত বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বাড়ির ভিতরে কয়লা, গোবর এবং কাঠ পোড়ানোর কারণে অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের শিকার হয়েছিল।

সবশেষে প্রশ্ন একটাই, ‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য’ করে তুলতে পারব তো আমরা?