Aliens: এত গবেষণার পরেও এলিয়েনরা বিজ্ঞানীদের কাছে অধরা কেন? জানা গেল আসল কারণ

Alien Detection Update: একটি গবেষণায় নতুন ব্যাখ্যা পাওয়া গেল, কেন এতদিনেও এলিয়েনদের শনাক্ত করা যায়নি তা নিয়ে। সুইৎজ়ারল্যান্ডের Ecole Polytechnique Federale de Lausanne (EPFL)-এর পরিসংখ্যানগত বায়োফিজিক্সের ল্যাবরেটরির গবেষণা থেকে সেই ব্যাখ্যা উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে দ্য অ্যাসট্রোনমিক্যাল জার্নালে।

Aliens: এত গবেষণার পরেও এলিয়েনরা বিজ্ঞানীদের কাছে অধরা কেন? জানা গেল আসল কারণ
এত কিছুর পরেও এলিয়েনদের শনাক্ত করা গেল না?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2023 | 4:58 PM

Aliens News: অনন্তকাল ধরে এই পৃথিবীতে এলিয়েনদের নিয়ে এত জল্পনা, এত চর্চা চলে আসছে। গল্প, সিনেমার কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু তারপরেও তো ভিনগ্রহীরা মানবসমাজের কাছে অধরা। বিজ্ঞানীরাও বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু শনাক্তকরণ তো এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। গবেষণা তো নেহাত কম হয়নি। কিন্তু তারপরেও কেন এতদিনে এলিয়েনদের যায়নি? এই উত্তরটাও এতদিন অধরা ছিল। এবার একটি গবেষণায় নতুন ব্যাখ্যা পাওয়া গেল, কেন এতদিনেও এলিয়েনদের শনাক্ত করা যায়নি তা নিয়ে। সুইৎজ়ারল্যান্ডের Ecole Polytechnique Federale de Lausanne (EPFL)-এর পরিসংখ্যানগত বায়োফিজিক্সের ল্যাবরেটরির গবেষণা থেকে সেই ব্যাখ্যা উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে দ্য অ্যাসট্রোনমিক্যাল জার্নালে।

সায়েন্স অ্যালার্টের কাছে বায়োফিজ়িসিস্ট ক্লউডিও গ্রিমালদি বলেছেন, “আমরা মাত্র 60 বছর ধরে খুঁজছি।” তাঁর আরও বক্তব্য, “পৃথিবী একটি বুদবুদের মধ্যে রয়েছে, যা বহির্জাগতিক জীবনের দ্বারা নির্গত রেডিও তরঙ্গ থেকে মুক্ত।” ওই বিজ্ঞানী ব্যাখ্যা করে জানালেন, স্ক্যান করার জন্য খুব বেশি জায়গা আছে এবং সম্ভবত, পর্যাপ্ত পরিমাণ এলিয়েন সংক্রমণ সেই পথ অতিক্রম করতে পারে না।

তবে তা নিয়ে যে আমাদের শান্ত থাকতে হবে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানী। বলছেন, “আমাদের ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। মহাবিশ্বে কমিউনিকেশনের চিহ্ন খুঁজে বের করতে স্ক্যানিংয়ের জন্য সময়, প্রচেষ্টা এবং অনেক অর্থের প্রয়োজন। তার থেকেও বড় কথা, বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তা বা এক্সট্রাটেরেস্টিয়াল ইনটেলিজেন্স (SETI) অনুসন্ধান আমাদের সময়ের জন্য মূল্যবান কি না, তা নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে।”

রিসার্চ মডেলটি একটি অনুমানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রকাশ করছে, আকাশগঙ্গায় প্রযুক্তিগত উৎসের অন্তত একটি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সংকেত রয়েছে, যেখানে পৃথিবী কমপক্ষে ছয় দশক ধরে একটি বুদবুদ বা স্পঞ্জের মধ্যে রয়েছে। এদিকে ওই বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, যদি তাই হয়, তাহলে পরিসংখ্যানগত ভাবে আমাদের ছায়াপথের কোথাও প্রতি শতাব্দীতে 5টিরও কম ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সঙ্কেত নির্গমন হয়। সায়েন্স অ্যালার্ট তাদের রিপোর্টে এটিকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করে বলছে, এই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সঙ্কেতগুলি মিল্কিওয়েতে সুপারনোভাসের মতোই সাধারণ। এলিয়েন সংক্রমণের আঘাত অনুভব করতে কমপক্ষে 60 বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।

ক্লউডিও গ্রিমালদির কথায়, “পরিস্থিতিটা হয়তো আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক ছিল। কারণ, কীভাবে রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করতে হয় তা যখন আমরা আবিষ্কার করেছিলাম, ঠিক সেই সময়ই মহাকাশের এমন একটি অংশ অতিক্রম করছিলাম, যেখানে অন্যান্য সভ্যতার ইলেকট্রোম্যাগনেটির সঙ্কেত অনুপস্থিত ছিল।” তাঁর কথায়, “দুঃখের বিষয়টা হল আমরা ক্রমাগত বিভিন্ন দিক থেকে একপ্রকার সঙ্কেতের বোমাবর্ষণ অনুভব করছি। কিন্তু, কিছু কারণবশত সেগুলি আমারা সনাক্ত করতে পারছি না।”