Viral Video: বিয়ের পোশাকে মেট্রোয় কনে, হাঁ হয়ে দেখছেন লোকজন
কনের গেটআপে মেয়েটিকে ঘুরতে দেখা যায়। আশেপাশে বসা লোকজন কনের জুড়ি মেলা ভার মেয়েটিকে দেখে স্তব্ধ হয়ে যায়। সবার দৃষ্টি তার দিকে স্থির। তারপরও অস্বস্তি না পেয়ে তাকে অযত্নে এদিক ওদিক হাঁটতে দেখা যায়।
Latest Viral Video: দিল্লি মেট্রোর গল্প সেই যে শুরু হল, তা আর থামার নাম নেই। দিল্লি মেট্রো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ছড়াছড়ি, প্র্যাঙ্কও চলছে দেদার। এখানে মানুষজন প্রায়শই এমন কিছু চাক্ষুষ করেন, যা তাঁরা সচরাচর টিভির পর্দায় বা মোবাইলের স্ক্রিনে দেখতে পান। কখনও ব্রা পরিহিত মহিলা পেচে পড়েন, কখনও যুগলেরা চুম্বন করেন, কখনও আবার সিট নিয়ে দুই যাত্রীর মধ্যে চূড়ান্ত মারপিট, দিল্লি মেট্রো আছে দিল্লি মেট্রোতেই। ঠিক সেরকমই দিল্লি মেট্রোর আর একটি ক্লিপ সকলের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। অন্যান্য ভিডিয়োর সঙ্গে এর পার্থক্য হল, এই ভিডিয়োতে কাউকে কোনও অন্যায় কাজ করতে বা নাচতে দেখা যায় না। এই কারণেই সবাই এটি পছন্দ করছেন। আসলে ভিডিয়োতে দেখা মেয়েটিকে কনের মতো দেখাচ্ছে। তিনি একটি মেরুন রঙের ভারী ব্রাইডাল লেহেঙ্গা পরেছেন।
দিল্লি মেট্রোর যে সব ভিডিয়ো এর আগে আমাদের নজরে এসেছে, তার বেশিরভাগই বিতর্কিত। কিন্তু এক্ষেত্রে বিতর্কের কিছু নেই। তবে অবাক হওয়ার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। কারণ, আপনি পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কবে কোনও কনেকে যাতায়াত করতে দেখেছিলেন? আদৌ কি কখনও তা দেখেছিলেন? এই কনের হাতে ছিল কোট বা শেরওয়ানির একটি ব্যাগও। নেটিজ়েনরা যা দেখার পরে খোঁটা দিয়ে বলছেন, বরের কোট নিয়ে যাচ্ছেন তিনি, সম্ভবত পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার চিন্তাভাবনা তাঁদের।
View this post on Instagram
কনের পোশাক ছিল যথেষ্ট ভারী। পোশাক, সাজগোজ মূলত এই সব কারণেই কনেরা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করেন না। আর সেই কারণেই মেট্রোর অন্যান্য যাত্রীরা ওই কনের দিকে হাঁ হয়ে তাকিয়ে ছিলেন। গত 27 এপ্রিল ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়েছিল। ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে তা। সামগ্রিকভাবে, ব্যবহারকারীরা ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন এবং কনের প্রশংসা করেছেন।
মহিলার প্রোফাইল দেখে জানা যায়, তিনি একজন অভিনেতা, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সিয়াল। প্রভাবশালী। তাঁর নাম হারজিত মান। এই লেহেঙ্গায় তাঁর অনেক ব্রাইডাল শুট রয়েছে। এছাড়াও পুরনো পোস্টগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি কনে নেন। বরং, কনের পোশাকে ব্রাইডাল শুট করতেই তিনি মেট্রোয় সফর করছিলেন।