মুচলেকা দিয়ে যোগদান! ৭৫ জন বিজেপি কর্মী নাম লেখালেন তৃণমূলে
বিজেপির এই অভিযোগ 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। হুগলি জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি স্বপন সামন্ত বলেন, "বাংলার মানুষ বিজেপিকে পরিত্যাগ করেছে। তারা প্রচারে নেই, প্রচার পেতে চাইছে বলে এখন এই সব রটাচ্ছে। এখন মোটে পঁচাত্তর জন যোগ দিল। ক্রমশই এই সংখ্যা বাড়বে।"
হুগলি: বঙ্গযুদ্ধ মিটলেও জারি যোগদান পর্ব। এ বার, তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রমেন্দু সিংহ রায়ের হাত ধরে মোট ৭৫ জন বিজেপি কর্মী মুচলেকা দিয়ে যোগ দিলেন ঘাসফুলে। বৃহস্পতিবার একটি রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে সম্পন্ন হয় এই যোগদান পর্ব। এই যোগদান পর্বে সিপিএম গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকজন সদস্যও যোগ দেন শাসক শিবিরে।
রক্তদান শিবিরের আনুষ্ঠানিক মঞ্চ থেকে মুচলেকা পড়ে শোনান তৃণমূল ব্লক সভাপতি অশোক হাজরা। কী লেখা ছিল মুচলেকায়? লেখা হয়েছে, “বিধানসভা ভোটে আমরা বিজেপির হয়ে কাজ করেছি, কিন্তু মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের উন্নয়নমূলক কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চাই।” যদিও, আরামবাগের বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি গণেশ চক্রবর্তী বলেন, “এই যোগদান দেখে বোঝা যায়, বাংলায় গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। বলপূর্বক যোগদান পর্ব চলছে। শুভেন্দুদা এলেই সব সুড়সুড় করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে আসবে।”
বিজেপির এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। হুগলি জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি স্বপন সামন্ত বলেন, “বাংলার মানুষ বিজেপিকে পরিত্যাগ করেছে। তারা প্রচারে নেই, প্রচার পেতে চাইছে বলে এখন এই সব রটাচ্ছে। এখন মোটে পঁচাত্তর জন যোগ দিল। ক্রমশই এই সংখ্যা বাড়বে।”
উল্লেখ্য, গত ৫জুন বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দেন ২০০ জন তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, ওই বিজেপি কর্মীদের অনেকেই ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের পর গেরুয়া শিবিরে (BJP) যোগদান করেছিলেন। পরে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে তাঁরা ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: ‘আইনি সমর’! হাওয়া বদলাচ্ছে মালদায়, জেলা সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল