Potato Farming: পথে আবার নিম্নচাপের কাঁটা, জায়গা নেই হিমঘরেও, কী ভবিষ্যৎ নতুন আলুর?
Potato Farming: কোল্ড স্টোরে মজুত আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ী থেকে কৃষকেরা। কয়েকদিন বাদেই বাজারে চলে আসবে নতুন আলু। কিন্তু, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্টোরগুলির মতো চন্দ্রকোনার কোল্ড স্টোর গুলি এখনও মজুত লক্ষ লক্ষ প্যাকেট পুরনো আলু।
হুগলি-ঘাটাল: ফের মুখ ভার আকাশের। রাত থেকে চলছে একটানা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। সকালেও একই ছবি। হুগলির তারকেশ্বর থেকে হরিপাল, ধনিয়াখালি, সিঙ্গুর, জাঙ্গিপাড়া-সহ জেলার একাধিক ব্লকে রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। একই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরে। তাতেই নতুন করে আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। আলুর বীজ জমিতে বসানো থেকে আলু পরিপক্ক হতে সময় লাগে ৭০ থেকে ৮০ দিন।
এ বছর এমনিতেই আলু চাষ পিছিয়েছে ১৫ থেকে ২০ দিন। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে হুগলি জেলায় দীর্ঘ সময় ধরে বিক্ষিতভাবে আলুর বীজ বসানো হয়েছে। তাই বর্তমানে কোনও জমিতে আলু গাছের বয়স ১৫ দিন, তো কোনও জমিতে ১ মাস। এবার অকাল নিম্নচাপে নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন চাষীরা।
অন্যদিকে আবার কোল্ড স্টোরে মজুত আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ী থেকে কৃষকেরা। কয়েকদিন বাদেই বাজারে চলে আসবে নতুন আলু। কিন্তু, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্টোরগুলির মতো চন্দ্রকোনার কোল্ড স্টোর গুলি এখনও মজুত লক্ষ লক্ষ প্যাকেট পুরনো আলু। এই আলুর ভবিষ্যত কী হতে চলেছে তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছেন না চাষি থেকে ব্যবসায়ীরা।
এই খবরটিও পড়ুন
সূত্রের খবর, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরে হিমঘরগুলিতেই এখনও ১ লক্ষ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আলু মজুত রয়েছে। এর মধ্যে চন্দ্রকোনা এক ও দুই নম্বর ব্লক মিলিয়ে কোল্ড স্টোর গুলিতে এখনও মজুত রয়েছে ১০ লক্ষ ৮১ হাজার ৬২০ আলুর প্যাকেট। দ্রুত সেগুলিকে বাজারে বের করা না হলে নতুন আলুর তুলতে যে রীতিমতো বেগ পেতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাওড়া-হুগলির আলু কলকাতায় গেলেও পশ্চিম মেদিনীপুরে যে ধরনের আলু উৎপাদন হয় তা কলকাতার বাজারে যায় না। যায় মূলত ঝাড়গ্রামের সীমানা হয়ে ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তীশগঢ়ে। কিন্তু, রফতানি বন্ধ থাকায় সেই দরজাও বন্ধ।