Municipal Election: পাখির চোখ পুরভোট, স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিশেষ নজর আলিপুরদুয়ার পুরসভার
২০২১ সালে নতুন একটি আরবান হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের কাজের জন্য ৩১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার: পুরসভা (Municipal Election) ভোটকে পাখির চোখ করে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর জোর দিচ্ছে আলিপুরদুয়ার পুরসভা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১- ২০২২ সালের মধ্যে আলিপুরদুয়ারে পাঁচটি আরবান হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার গড়ার কথা বলেছেন। সেই মতোই কাজ শুরু করছে পুরসভা।
২০২১ সালে নতুন একটি আরবান হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের কাজের জন্য ৩১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই আলিপুরদুয়ার পুরসভা তড়িঘড়ি এই হেলথ সেন্টারের জন্য জমি পরিদর্শন করে।
এই সেন্টারের জন্য জমি পরিদর্শন করেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর-সহ অন্যান্য প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরই আলিপুরদুয়ারের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পাশের জমিতেই এই সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হবে।
এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ার শহরে পুরসভার তত্ত্বাবধানে মোট সাতটি আরবান হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার রয়েছে। নতুন করে এই হেলথ সেন্টার হলে সংখ্যা দাঁড়াবে আটটি।
আলিপুরদুয়ারের রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে আলিপুরদুয়ারের বেশিরভাগ পুরসভাতেই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে এবার পুরভোটে আদা জল খেয়ে নামতে চায় শাসকদল। আর ভোট মানেই তৃণমূলের হাতিয়ার উন্নয়নের ফিরিস্তি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে বুথ স্তরের কর্মী, সকলেরই বক্তব্য উন্নয়নকে সামনে রেখেই বাংলায় ভোট জেতে তৃণমূল। আলিপুরদুয়ারে পুরভোটের আগে সে পথেই হাঁটার চেষ্টা করছে শাসকদল।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরবান হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের জন্য বরাদ্দ করেছেন। ২০২১-২২-এ একটি তৈরির জন্য প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। আমাদের কাছে ৩ নভেম্বর খবর এসেছে। ৪ তারিখ কালীপুজো ছিল। তবে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা যায়, তাই শুক্রবার থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমরা ওই হেলথ সেন্টার তৈরির জন্য জায়গাও খুঁজে বের করলাম। যা কাগজপত্র রয়েছে তা আমরা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠাব। তার পর অনুমতি এলে কাজ শুরু করব।”
উপনির্বাচনে ৪-০ করে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছে তৃণমূল। তিন কেন্দ্রে আবার বিজেপির জামানত জব্দ হয়েছে। আর সেই জয়ের আনন্দের মাঝেই পুরভোট চাইল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। কলকাতা এবং হাওড়ায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোট করতে চেয়ে কমিশনের কাছে চিঠি দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। রাজ্য সরকারের তরফে এই চিঠি পাঠানো হচ্ছে শুক্রবার। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যৌথ সিদ্ধান্তে পুরভোট হয়।
যদিও পুরভোট নিয়ে বিজেপি সবরকম ভাবে প্রস্তুত বলেই দাবি করেছেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুরভোটে সর্বশক্তি দিয়ে লড়বে বিজেপি।”
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ১১ হাজার নমুনা পরীক্ষা কমল রাজ্যে, তবুও পজিটিভিটি রেট ঊর্ধ্বমুখীই