AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Caesarean Baby: বঙ্গে বাড়ছে সিজারিয়ান বেবির সংখ্যা! জানেন নেপথ্যে দানা বাঁধছে কোন কারণ?

Caesarean Baby: তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরে সরকারি হাসপাতালে ৯ লক্ষ ২০ হাজার ৭০৯ জন প্রসূতির ডেলিভারি হয়। এর মধ্যে ৭২১ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ৭২১ জন প্রসূতির ৭০ শতাংশই সিজারের পর মারা গিয়েছিলেন।

Caesarean Baby: বঙ্গে বাড়ছে সিজারিয়ান বেবির সংখ্যা! জানেন নেপথ্যে দানা বাঁধছে কোন কারণ?
প্রতীকী ছবিImage Credit: Doaa Albaz/Anadolu via Getty Images
| Updated on: Jan 28, 2025 | 8:28 PM
Share

কলকাতা: স্বাভাবিক প্রসবের বদলে সিজারিয়ান এখন খুবই সাধারণ ঘটনা। তবে ঝুঁকি এড়াতে যে সিজারিয়ান ডেলিভারি বা সি-সেকশনের এত রমরমা, তাতে সত্যিই কি ঝুঁকি কমছে? পরিসংখ্যান কিন্তু সেটা বলছে না।

এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে কমবেশি ২৪ শতাংশ শিশু সি-সেকশনের মাধ্যমে জন্ম নিচ্ছে। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে এই হার অনেকটাই বেশি। আর এরাজ্যে বেসরকারি হাসপাতালে ৮৪ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে সি-সেকশনের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে আর কোনও রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ধারেকাছে নেই। তুলনায় বাংলায় সরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান প্রসবের সংখ্যা কম। এমনকি জাতীয় গড়ের চেয়েও কম।

তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরে সরকারি হাসপাতালে ৯ লক্ষ ২০ হাজার ৭০৯ জন প্রসূতির ডেলিভারি হয়। এর মধ্যে ৭২১ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ৭২১ জন প্রসূতির ৭০ শতাংশই সিজারের পর মারা গিয়েছিলেন। যেটা আরও আশঙ্কার সেটা হল, গত ১০ বছরে জাতীয় স্তরে ও রাজ্যে সিজারিয়ান প্রসবের হার বেড়েই চলেছে।

ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অফ মাদার অ্যান্ড চাইল্ডের মতে, যে কোনও দেশে সি-সেকশনে প্রসব ‍১৫ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। সেখানে ২০৩০ সালে ভারতে সিজারিয়ান প্রসব ৩৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। সিজারিয়ান ডেলিভারি নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই ঠিক-ভুল ধারণা আছে। চিকিত্‍সকদের বড় অংশই বলেন, সিজারিয়ান ডেলিভারি মানেই সবটা ভালো ও নিরাপদ নয়। অনেক সময় মায়েদের এজন্য ভুগতে হয়।

সাধারণ প্রসবের থেকে জন্মের পরে এসব ক্ষেত্রে মায়েদের মৃত্যুহার অনেক বেশি। এমনকি সন্তান জন্মের অনেক বছর পরেও জরায়ু-সহ একাধিক জটিল সমস্যায় পড়েন মহিলারা। সেটা যে সিজারিয়ান ডেলিভারির কুফল, অনেক সময়ই তা বুঝে ওঠা যায় না। কাজ, কেরিয়ার, অফিস – এসব কারণে এখন অনেক মহিলা সিজার বেছে নেন। এতে শারীরিক ঝুঁকি কম বলেও ধারণা অনেকের। সেটা যে সঠিক নয়, এটা এবার বোঝার সময় এসেছে।

ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অফ মাদার অ্যান্ড চাইল্ডের সুপারিশ, এক্ষেত্রে মাদারহুড অডিট সেরা বিকল্প। কাদের স্বাভাবিক প্রসব প্রয়োজন আর কাদের সিজারিয়ান, তা আগে পরীক্ষা করে বলা সম্ভব। সেটা হলে মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসতে পারে।