Tab: সেই একই কেস! বাঁকুড়াতেও ১০ টি স্কুলের ৪৭ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা চলে গেল অন্যের অ্যাকাউন্টে
Tab: এর মধ্যে বাঁকুড়ার নিত্যানন্দপুর হাইস্কুলের ২০ জন ও সিমলাপাল মঙ্গলময়ী বালি বিদ্যামন্দিরের ১৭ জন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে। এছাড়াও জগদল্লা গোড়াবাড়ি এমজিএস বিদ্যালয় এবং বিষ্ণুপুর কে এম হাইস্কুলের ক্ষেত্রে দুজন করে পড়ুয়ার সঙ্গে এমনটা হয়েছে।
বাঁকুড়া: ট্যাব কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়েছে বিহার যোগ। তদন্ত যখন চলছে সেই সময় এবার ট্যাব কেলেঙ্কারির আঁচ পড়ল বাঁকুড়াতেও। সম্প্রতি ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেল জেলার ১০ টি স্কুলের ৪৭ জন পড়ুয়ার জন্য বরাদ্দ ট্যাবের টাকা চলে গিয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। শিক্ষা দফতরের দাবি, দ্রুত ওই টাকা ফেরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষেত্রে টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
সারা রাজ্যেই সম্প্রতি ট্যাব কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের’ অধীন এই বরাদ্দ নিয়ে খোঁজ খবর করতেই জানা যায়, বাঁকুড়া জেলাতেও পড়ুয়াদের একাংশের ট্যাবের টাকা চলে গেছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। সারা জেলার ১০ টি স্কুলের ৪৭ জন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে এমন বেনিয়ম সামনে এসেছে।
এর মধ্যে বাঁকুড়ার নিত্যানন্দপুর হাইস্কুলের ২০ জন ও সিমলাপাল মঙ্গলময়ী বালি বিদ্যামন্দিরের ১৭ জন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে। এছাড়াও জগদল্লা গোড়াবাড়ি এমজিএস বিদ্যালয় এবং বিষ্ণুপুর কে এম হাইস্কুলের ক্ষেত্রে দুজন করে পড়ুয়ার সঙ্গে এমনটা হয়েছে। অন্য স্কুলিগুলির ক্ষেত্রে একজন করে পড়ুয়ার প্রাপ্য ট্যাবের টাকা ঢুকেছে অন্যের অ্যাকাউন্টে । বিষয়টি জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করে শিক্ষা দফতর।
যে অ্যাকাউন্টগুলিতে ওই টাকা চলে গিয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে দ্রুত টাকা ফেরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতরের দাবি, টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকজনের টাকা ফেরানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতরের দাবি, যে পোর্টালে ট্যাবের টাকার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে, তাতে পড়ুয়াদের নাম ও অ্যাকাউন্ট নম্বর এন্ট্রি করার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের। তাই এই ভুল সংশ্লিষ্ট স্কুলিগুলির বলেই দাবি স্কুল শিক্ষা দফতরের।
বাঁকুড়া জেলার স্কুল পরিদর্শক পীযুষ কান্তি বেরা বলেন, “বাঁকুড়ায় তেমন বড় কিছু ঘটেনি। দুটো স্কুলের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। আমরা চিঠি পাঠিয়েছি যাতে টাকা সঠিক অ্যাকাউন্টে ফেরত আসে।”