Bankura: এগিয়ে আসছে নদী, সিমলাপালে তলিয়ে যাওয়ার পথে গ্রামের পর গ্রাম, বিজেপি বলছে তৃণমূলের ‘দোষ’
Bankura: ভয়াবহ ভাঙনের কবলে গ্রামীণ রাস্তার একাংশ, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন স্থানীয়রা। রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি আঙুল তুলছে তৃণমূলের দিকে। যদিও শাসকদল তাতে পাত্তা দিতে নারাজ।
সিমলাপাল: প্রতি বছর একটু একটু করে গ্রামের কাছে এগিয়ে আসছে নদী। ভয়াবহ ভাঙনের জেরে ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে চলে গেছে গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র কাঁচা রাস্তার একাংশ। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভেঙে যাওয়া রাস্তার দু’দিকে বাঁশ দিয়ে আড়াল করে স্থানীয়রাই বন্ধ করে দিয়েছেন যাতায়াত। এ ছবিই দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের আঁকড়ো ও সাইড়ি গ্রামের মধ্যবর্তী অংশে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শিলাবতী নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলেই এমন ভয়াবহ ভাঙনের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের মাঝ বরাবর বয়ে গিয়েছে শিলাবতী নদী। এই নদীতে সারাবছর জল না থাকলেও বর্ষায় এই নদীই হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। সম্প্রতি এই নদীর পাড়ে থাকা আঁকড়ো ও সাইড়ি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন। নদীর পাড়েই রয়েছে আঁকড়ো, সাইড়ি, পুইপাল, নতুনগ্রাম, রঘুনাথপুর, মাদারিয়া, ঝমকা, বাগান, পিঠাবাঁকড়া, পুটিয়াদহ, জামবনি সহ ১০ থেকে ১২ টি গ্রাম। শিলাবতী নদী পাড় ভাঙতে ভাঙতে প্রতি বছর বর্ষায় একটু একটু করে এগিয়ে আসছে গ্রামগুলির দিকে। ইতিমধ্যেই গ্রামগুলিতে যাওয়ার কাঁচা রাস্তার একাংশ তলিয়ে গেছে নদীগর্ভে। এবার গ্রামের বাড়ি ঘর হারানোর আশঙ্কায় দিন গুনছেন গ্রামগুলির বাসিন্দারা।
গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ শিলাবতী নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলেই এমন ভয়াবহ ভাঙনের ঘটনা ঘটছে। এমন ঘটনার জন্য রাজ্যের শাসকদলকেই দূষছে বিজেপি। বিজেপির দাবি শাসকদলের মদতে দিনের পর দিন অবৈধ বালি পাচারের ফলেই এমন দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এই ঘটনা নিয়ে আগামীতে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল অবশ্য বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের আশ্বাস ভেঙে যাওয়া রাস্তা দ্রুত মেরামত করার ব্যপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।