Didir suraksha kavach: গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, অভিযোগ শুনেই পাল্টা ধমক ঠিকাদারকে
Didir doot: গত শনিবার বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের দুবরাজপুর গ্রামে 'দিদির দূত' হিসাবে গিয়ে এলাকার এক যুবকের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তালডাংরার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী।
বাঁকুড়া: ফের গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে তালডাংরার বিধায়ক। রাস্তা ও পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে সাধারণের অভিযোগ শুনে রীতিমত ধমক দিলেন ঠিকাদারকে।
‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হিসাবে গিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়লেন বাঁকুড়ার (bankura) তালডাংরার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী। আজ বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের গুন্নাথ গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করে বেরনোর সময় আচমকাই গুন্নাথ গ্রামের কিছু মানুষ বিধায়ককে ঘিরে ধরে রাস্তা সংস্কার ও নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের দাবি জানান। রাস্তা সংস্কারের কাজের ওয়ার্ক অর্ডার হওয়ার পরও কাজ শুরু না হওয়ায় বরাত পাওয়া ঠিকাদারকে ধমক দিতে দেখা যায় বিধায়ককে।
গত শনিবার বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের দুবরাজপুর গ্রামে ‘দিদির দূত’ হিসাবে গিয়ে এলাকার এক যুবকের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তালডাংরার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ ইন্দপুরের গুন্নাথ গ্রামে ‘দিদির দূত’ হিসাবে গিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক।
স্থানীয় গুন্নাথ গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি ডাঙ্গারামপুর থেকে মুদিনা পর্যন্ত মোট পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেহাল। বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিষয়টি বারবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে জানিয়েও লাভ হয়নি। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের কাজ শুরু হলেও গুন্নাথ গ্রামের মানুষ নলবাহিত পানীয় জল থেকে বঞ্চিত।
গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কথা শুনে বিধায়ক রাস্তাটি সংস্কারের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে খোঁজ নেন। বরাত পাওয়ার পরও রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু না করায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে জরুরি তলব করে ব্যাপক ধমক দেন। দ্রুত কাজ শুরু না করলে ওই ঠিকাদারকে কালো তালিকাভূক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকেও নির্দেশ দেন বিধায়ক। পাশাপাশি দ্রুত গুন্নাথ গ্রামে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের ব্যাপারে স্থানীয়দের আস্বাসও দেন বিধায়ক। রাস্তার বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা জানিয়েছেন বরাত পেলেও বালি ও পাথরের যথেষ্ঠ জোগান না মেলায় রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।