Fraud Case: আবাস যোজনার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিল যুবক, উপভোক্তা ভাবতেও পারেননি এমন ফাঁদে পড়বেন
Bankura News: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাঁকুড়ার ছাতনা, বাঁকুড়া সদর থানা ও হীরবাঁধ থানায় একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ আসতে শুরু করে।
বাঁকুড়া: আবাস যোজনার তথ্য সংগ্রহের নামে উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় বাঁকুড়া (Bankura) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানা এলাকার এই ঘটনায় ধৃত যুবককে শুক্রবার খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালত ধৃতকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাঁকুড়ার ছাতনা, বাঁকুড়া সদর থানা ও হীরবাঁধ থানায় একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ আসতে শুরু করে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই একই কৌশল নিয়েছিল প্রতারক বলে তদন্তে জানতে পারে পুলিশ। এরপরই ময়দানে নামে তারা। তদন্তে নেমে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের।
দেখা যায়, এক যুবক আচমকাই আবাস যোজনার উপভোক্তার বাড়িতে হাজির হয়ে নিজেকে স্থানীয় বিডিও অফিসের কর্মী হিসাবে পরিচয় দেন। এরপরই গৃহস্থের সঙ্গে আলাপ জমান। কথায় কথায় বাড়ির কর্তার কাছ থেকে আবাস যোজনার জন্য তথ্য প্রয়োজন বলে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং উপভোক্তার ছবি তুলে নেন।
এরপরই নিজের সঙ্গে থাকা স্ক্যানারে উপভোক্তার আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে চম্পট দেন বলে অভিযোগ। ওই যুবক বাড়ি থেকে বেরোনোর কিছুক্ষণ পরই উপভোক্তারা দেখেন তাঁদের ব্যাঙ্ক আকাউন্ট থেকে জমা টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। গত ১৫ অক্টোবর হীরবাঁধ থানা এলাকায় আলপনা কোঙার নামে এক উপভোক্তার সঙ্গে এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটার পর কোমর বেঁধে তদন্তে নামে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্রকে কাজে লাগিয়ে রহস্যভেদ হয় অবশেষে। শুক্রবার সকালে হীরবাঁধ ও ইন্দপুর থানা যৌথভাবে অভিযানে নেমে ইন্দপুর থানার পায়রাচালি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবককে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, জেরার মুখে কৃতকর্মের কথা স্বীকারও করেছেন ওই যুবক। এই চক্রে আরও কেউ যুক্ত কি না, কত দূর এর শিকড় ছড়ানো তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস বলেন, “ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই প্রতারণার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না সে সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। হীরবাঁধের পাশাপাশি ছাতনা ও বাঁকুড়া সদর থানার প্রতারণার ঘটনাতে ধৃতের কোনও ভূমিকা ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।”