Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP vs TMC: ‘বিজেপি আমাকে অফার করেছিল’, মন্তব্য সায়ন্তিকার, পাল্টা তোপ দিলীপের

BJP vs TMC: শেষ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু তৃণমূল নেতাকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়তে দেখা গিয়েছিল। যাঁদের অনেকেই আবার পরবর্তীতে পুরনো দলে ফিরে আসেন।

BJP vs TMC: ‘বিজেপি আমাকে অফার করেছিল’, মন্তব্য সায়ন্তিকার, পাল্টা তোপ দিলীপের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2022 | 11:43 PM

বাঁকুড়া: “একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি আমাকে অনেক টাকা অফার করেছিল। বলেছিল আমাদের দল জয়েন করো। প্রলোভনে পা আমিও দিয়ে দিতে পারতাম। আমারও বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা আছে। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। আমাদেরও সংসার চালাতে হয়। শ্যুটিং বন্ধ ছিল। কিন্তু, সেই সময় আমি নিজেকে সংযত করেছি। আমি ভাবলাম বাড়িতে গিয়ে নিজেকে আয়নায় নিজের মুখটা দেখতে হবে। মিডিয়ার সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে মিথ্যা কথা বলতে হবে। তখন আমি বিবেকের কাছে উত্তরটা দিতে পারতাম না।” বাঁকুড়ার (Bankura) খাতড়ায় দলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে একথা বলেন নামজাদা অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। যা নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা তথা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। যদিও ইতিমধ্যেই সায়ন্তিকার এ দাবির প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। 

রীতিমতো আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দিলীপ বলেন, “কে দিয়েছিল নাম বলুন। এ রকম ফালতু কথা বলার জন্য তৃণমূলে প্রচুর লোক আছে। ভিখারিদের লোকে টাকা দেয়। ভদ্র লোকদের কেউ টাকা দিতে চায়না। ওখানে কত টাকা নিয়ে উনি আছেন বলুন। বিজেপি ফালতু কাউকে কিনতে চায়না। তখন পায়ে ধরে ছিল সবাই আসার জন্য। আমি সভাপতি ছিলাম। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি ঝগড়া করে ছিলাম তাদের যেন না নেওয়া হয়।”

প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু তৃণমূল নেতাকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়তে দেখা গিয়েছিল। যাঁদের অনেকেই আবার পরবর্তীতে পুরনো দলে ফিরে আসেন। তালিকায় নাম ছিল বাংলার বহু তাবড় তাবড় রাজনীতিবিদের। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। যদিও দুজনেই পরবর্তীতে ফের ফিরে আসেন ঘাসফুল শিবিরে। যা নিয়ে দলের অন্দরেও বিস্তর জলঘোলা হয়। এমতাবস্থায় সায়ন্তিকার মন্তব্য ঘিরে ফের চাপানউতর তৈরি হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।