Bagtui case: লালনের মৃত্যুতে আতঙ্কে আনারুল, অন্য জেলে সরাতে চায় পরিবার
Bagtui case: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল নেতা আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিবিআই-এর চার্জশিটেও আনারুলকে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বীরভূম : সিবিআই (CBI) হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরই আশঙ্কায় ভুগছেন বগটুই (Bagtui) মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেন। এই মুহূর্তে রামপুরহাটের জেলে বন্দি রয়েছেন আনারুল। কিন্তু সেখানে তাঁর যা নিরাপত্তা আছে, তা যথেষ্ট নয় বলেই দাবি করছে তাঁর পরিবার। ইতিমধ্যেই আনারুলের আইনজীবীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন পরিবারের সদস্যরা। আনারুলের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বা তাঁরে অন্য জেলে সরানোর আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা।
তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের পর সেই রাতে বীরভূমের বগটুইতে যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল, তাতে অভিযুক্ত হিসেবে লালন শেখের পরই আনারুলের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ছিল বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল নেতা আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিবিআই-এর চার্জশিটেও আনারুলকে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিন তাঁর আইনজীবী জানান, লালন শেখের মৃত্যুর পর আনারুলের পরিবার ভয় পাচ্ছে। আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, তবে বেআইনিভাবে তদন্ত করতে বলেনি আদালত। এই তদন্ত সম্পন্ন হওয়া খুব জরুরি।’ আনারুল শুধু এই মামলার অন্যতম অভিযুক্তই নয়, অন্যতম সাক্ষীও বটে। সেই রাতে কী হয়েছিল, বাড়িতে বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার কাজ কারা করেছিল, তা জানতে আনারুলের বয়ান গোয়েন্দাদের জন্য খুব জরুরি। সে কারণেই আনারুলের নিরাপত্তার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
শুধুমাত্র আনারুল নয়, বগটুই-কাণ্ডের অন্যান্য অভিযুক্তরাও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সোমবার লালন শেখের মৃত্যুর পরই সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন আর এক অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শেখের পরিবারের সদস্যরা। আর মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যাম্পের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর বিরুদ্ধে উঠছে স্লোগান। সিবিআই আধিকারিকদেরই গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। বগটুইয়ে সিবিআই ক্যাম্পের নিরাপত্তায় কলকাতা থেকে পাঠানো হয়েছে এক কোম্পানি সিআরপিএফ।