Visva-Bharati University : ‘ওদের কাছে বিশ্বভারতী সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁস’, খোলা চিঠিতে আক্রমণ বিদ্যুতের
Visva-Bharati University :চিঠিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী লেখেন, “অধঃপতনের জন্য বোলপুর শহরের মানুষরাও কম দায়ী নন। তাঁদের কাছে বিশ্বভারতী হল সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁসের মতো। তাঁরা লাভের কড়ির হিসাব নিয়েই মত্ত।”
বোলপুর : ১১ পাতার খোলা চিঠি লিখলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Vice-Chancellor of Visva Bharat Bidyut Chakraborty)। চিঠি শুরুই হচ্ছে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে। তিনি লিখেছেন বিশ্বভারতীর অধঃপতনের মূল কারণ প্রাক্তন উপাচার্যরাই। কাঠগড়ায় তুলেছেন ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, প্রাক্তনী ও আশ্রমিকদের। তাঁর দাবি এরা সকলেই নানাভাবে বিশ্ববিদ্যালয় (University) থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছেন, অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেননি। পাশাপাশি বিদ্যুতের দাবি বোলপুরবাসীরাও অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ। তিনি লিখছেন, “অধঃপতনের জন্য বোলপুর শহরের মানুষরাও কম দায়ী নন। তাঁদের কাছে বিশ্বভারতী হল সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁসের মতো। তাঁরা লাভের কড়ির হিসাব নিয়েই মত্ত। কিন্তু, দিনে দিনে ক্ষীয়মান সেই রাজহাঁসের যত্ন-আত্তি বা পরিচর্যার জন্য তাঁদের কোনও অবদানই পরিলক্ষিত হয় না।” ইতিমধ্যেই এই চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইট থেকে। এদিকে প্রত্যেকবার আশ্রমিক, প্রাক্তনীদের যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, তাতে বিতর্কের ঝড় উঠেছে নানা মহলে। এরই মধ্যে এভার এই খোলা চিঠি আবার যে বিতর্ক উস্কে দেবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাশাপাশি তিনি খোলা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বা বলা ভাল স্বীকার করেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আর বিদেশি পড়ুয়া আসে না। এ জন্য অবশ্য তিনি প্রাক্তনী ও আশ্রমিকদেরই কাঠগড়ায় তুলেছেন। আর এ সকল কারণেই বিশ্বভারতীর বিদেশি পড়ুয়াদের আকৃষ্ট করার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে বলে মত তাঁর। পাশাপাশি বাইরে শিক্ষকরা যে আর আসেন না বিশ্ববিদ্যালয়ে সে কথা স্পষ্ট করে লিখেছেন তিনি। অবশ্য বাকিদের ক্ষেত্রে তিনি নানান অভিযোগ করলেও, নিজের নাম উল্লেখ না করে নিজের সম্পর্কে প্রশংসাই করেছেন এই খোলা চিঠিতে। তিনি লিখেছেন, “২০১৮ সাল থেকে বিশ্বভারতীকে বিশ্বভারতী করে তোলার একটি সমবেত প্রয়াস শুরু হয়েছে। যাতে গোটা দেশ এবং বিদেশ থেকে শিক্ষকদের এখানে নিয়ে আসা যায় সেই কারণেই এই চেষ্টা। এর সুফল কয়েক বছরের মধ্যেই ফলতে দেখা যাবে।”
আর ঠিক এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই কি ২০১৮ থেকে বর্তমান সময়ই অবধি এমন কোনও প্রয়াস করা হয়েছে ? আগে কি সত্যিই বিশ্বভারতী বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের আকর্ষণ করতে পারেনি? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। অবশ্য বাস্তব বলছে অন্য কথা। কারণ, বিশ্বভারতীর সূত্র বলছে বর্তমান উপাচার্যের সময়কাল থেকেই কমেছে বিদেশি এবং ভিন রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদের সংখ্যা। সমানতালে কমেছে বিশ্বভারতীতে আগত অতিথি এবং পর্যটকের সংখ্যাও।