Bagtui Massacre: মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরেই বোমা ফেটে মৃত্যু ২ TMC কর্মীর, প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন বগটুইকাণ্ডের সাক্ষী মিহিলাল

Mihilal Sheikh: মিহিলাল ভয়ার্ত গলায় সংবাদমাধ্যমকে বললেন, 'যে কোনও সময়ে আমার উপরেও আক্রমণ হতে পারে, যেহেতু আমি রাজসাক্ষী রয়েছি।'

Bagtui Massacre: মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরেই বোমা ফেটে মৃত্যু ২ TMC কর্মীর, প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন বগটুইকাণ্ডের সাক্ষী মিহিলাল
মিহিলাল শেখ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2023 | 3:51 PM

বগটুই: কিছুদিন আগেই বীরভূমের মাড়গ্রামে বোমা (Birbhum Margram Blast) ফেটে মৃত্যু হয়েছে দুই তৃণমূল কর্মীর। সেখান থেকে বগটুইয়ের দূরত্ব খুব বেশি নয়। দুটি আলাদা থানা এলাকায় হলেও মাড়গ্রামের ওই ঘটনাস্থল থেকে বগটুই গ্রামের দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। এমন অবস্থায় ভীষণ ভাবে আতঙ্কে রয়েছেন বগটুইকাণ্ডের (Bagtui Masaccre) অন্যতম সাক্ষী মিহিলাল শেখ (Mihilal Sheikh)। প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন তিনি। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করার জন্য বীরভূম জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানালেন মিহিলাল। ভয়ার্ত গলায় সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘যে কোনও সময়ে আমার উপরেও আক্রমণ হতে পারে, যেহেতু আমি রাজসাক্ষী রয়েছি।’ যে কোনও সময়ে তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে, এমন আতঙ্কের আভাসও তিনি পাচ্ছেন।

কীসের আশঙ্কায় ভুগছেন মিহিলাল? কাদের থেকে ভয় পাচ্ছেন তিনি? সরাসরি কারও নাম উল্লেখ না করলেও, মিহিলাল শেখের দাবি, যারা বগটুইয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল, যারা অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তাদের অনেকেই এখন জেলের মধ্যে রয়েছে। সেই জেলবন্দি অভিযুক্তদের আত্মীয়-পরিজনরা তাঁর উপর হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বগটুইকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী। মিহিলালের বক্তব্য, তাঁকে মেরে ফেললে অভিযুক্তরা মামলায় সুবিধাজনক অবস্থায় চলে যাবে। হয়ত জামিনও পেয়ে যাবে।

এমন অবস্থায় নিজের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য জেলা পুলিশের সুপারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মিহিলাল শেখ। সুপারের কাছে লিখিত আবেদনে তাঁর বক্তব্য, তিনি যখন রামপুরহাট থানা এলাকার বাইরে যান, তখন তাঁর সঙ্গে কেবল একজন নিরাপত্তাকর্মী থাকেন, কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনও বন্দুক থাকে না। ফলে তিনি রামপুরহাটের বাইরে জরুরি কাজে যেতে পারছেন না। এমন অবস্থায় সশস্ত্র নিরাপত্তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মিহিলালের আশা, পুলিশ প্রশাসন তাঁর এই আবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সংবাদ মাধ্যমকে মিহিলাল জানালেন, প্রথমদিকে বাড়ির সামনে অনেক পুলিশকর্মী থাকলেও, বর্তমানে বাড়ির সামনে চারজন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকেন।