Anubrata Mondal: কেষ্টহীন বীরভূমে তৃণমূলের ভরসা কোর কমিটিতেই, খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা
TMC in Birbhum: অনুব্রতহীন বীরভূম জেলার ক্ষেত্রে দলের সাংগঠনিক কাজকর্ম চালানোর জন্য তৃণমূল ভরসা রেখেছে কোর কমিটির উপরেই। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি পদের পাশে অনুব্রত মণ্ডলের নাম লেখা নেই নতুন তালিকায়। সেখানে লেখা 'কোর কমিটি টু কমিটি'।
সিউড়ি: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের জেলাস্তরে ব্যাপক সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হয়েছে। কোথাও জেলা সভাপতি বদল হয়েছে, কোথাও আবার জেলা চেয়ারম্যান বদল হয়েছে। অনুব্রতহীন বীরভূম জেলার ক্ষেত্রে দলের সাংগঠনিক কাজকর্ম চালানোর জন্য তৃণমূল ভরসা রেখেছে কোর কমিটির উপরেই। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি পদের পাশে অনুব্রত মণ্ডলের নাম লেখা নেই নতুন তালিকায়। সেখানে লেখা ‘কোর কমিটি টু কমিটি’। তৃণমূলের জেলা সংগঠন একার হাতে দীর্ঘদিন একা হাতে সামলে এসেছেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তিনি এখন তিহাড়ে বন্দি। এমন অবস্থায় তাই কেষ্ট মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে কোনও ব্যক্তি বিশেষ নয়, দলের কোর কমিটির উপরেই ভরসা রাখছে তৃণমূল।
পঞ্চায়েত নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বীরভূমে অনেকটা দাপট বেড়েছে কাজল শেখের। এখন তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতি। জেলার রাজনীতিতে এককালে কেষ্ট-বিরোধী হিসেবে পরিচিত হলেও কাজল শেখ সম্প্রতি একাধিকবার দাবি করেছেন অনুব্রত তাঁর রাজনৈতিক গুরু, তাঁর অভিভাবক। নিজেকে ‘টিম অনুব্রতর’ একজন সদস্য বলেই ব্যাখ্যা করেন তিনি। দুর্গাপুজোর সময় বোলপুরের হাট সারিন্ডায় অনুব্রতর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন কাজল শেখ। সম্প্রতি অনুব্রতর মতো কাজলের গলাতেও শোনা গিয়েছে বীরভূমকে বিরোধী-শূন্য করার ডাক। ‘খেলা হবে’ স্লোগানও শোনা গিয়েছিল কাজলের গলায়। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে জেলায় কাজল শেখের গুরুত্ব বাড়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চাও শুরু হয়েছিল। তবে লোকসভা ভোটের মুখে জেলার দায়িত্ব কোর কমিটির উপরেই ভরসা রাখল তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিকে কোর কমিটির উপরে ভরসা রাখা প্রসঙ্গে বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই খোঁচা দিতে শুরু করে দিয়েছে। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার বক্তব্য, “জেলা সভাপতির পদে অন্য কাউকে বসানো হলে তিহাড়ে অনুব্রত মণ্ডল ইডির কাছে সারেন্ডার করতে পারেন। সত্য কথা বলে দেবেন। সেই জন্য তৃণমূল বাধ্য হয়েছে কোর কমিটি টু কমিটি করতে। তৃণমূল কংগ্রেস কেষ্ট মণ্ডলকে ফেলতেও পারছে না, গিলতেও পারছে না।” খোঁচা দিতে ছাড়ছে না সিপিএম শিবিরও। সিপিআইএমের বীরভূম জেলার সম্পাদক গৌতম ঘোষের বক্তব্য, “মানুষের কাছে নতুন কী দেবে? কাকে পাল্টে কাকে দেবে? মানুষ জেনে গিয়েছে কে, কী করছেন।”
বিরোধীদের এই খোঁচা নিয়ে জেলার তৃণমূল শিবিরের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে দলের একাধিক জেলায় সাংগঠনিক পরিবর্তন প্রসঙ্গে সোমবার বিকেলে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, গোটাটাই রুটিন রদবদল।