TMC Khoyrashol: ‘আমি মঞ্চে বসতেই নামিয়ে দিল’, কেষ্টর বীরভূমে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূলের রাজ্য সেলের নেত্রী
Birbhum: ব্লকের তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল কাদেরি, খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর উদ্যোগেই এদিন জেলা তৃণমূলের এই বিজয়া সম্মিলনী হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই জেলার শীর্ষনেতৃত্ব ছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে নির্দেশ দিয়েছে, এসব কোন্দল দলে বরদাস্ত করা হবে না।
বীরভূম: খয়রাশোলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ বহুদিনের। আর তা মেটাতেই আজ শনিবার বিজয়া সম্মিলনী হয় সেখানে। মঞ্চে শতাব্দী রায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজল শেখ — ছিলেন সকলেই। তবু গোষ্ঠীকোন্দলের যে ‘অপবাদ’, তা আর ঘোচাতে পারল না শাসকদল। মঞ্চে ঠাঁই না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্য মহিলা সেলের সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর। মঞ্চ থেকে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ব্লকের তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল কাদেরি, খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর উদ্যোগেই এদিন জেলা তৃণমূলের এই বিজয়া সম্মিলনী হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই জেলার শীর্ষনেতৃত্ব ছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে নির্দেশ দিয়েছে, এসব কোন্দল দলে বরদাস্ত করা হবে না।
অথচ তারপরও বিজয়া সম্মিলনীতে সেই ‘খেয়োখেয়ি’ প্রকাশ্যে। মঞ্চে তখন অনুষ্ঠানের ঘোষণা হচ্ছে, অসীমা ধীবর ঠিক মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে। সেখান থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বলেন, “আমি রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক। আমি মঞ্চে বসার সঙ্গে সঙ্গে নামিয়ে দিল। আজকে আমাকে অপমান করা মানে দলকে অপমান করা। এখন যারা খয়রাশোল ব্লকে ক্ষমতাবান হয়েছে তারাই এসব করল। আমি চললাম।” গট গট করে এরপর এগিয়ে যান তিনি।
এদিকে হইচই শুনে ছুটে আসেন বিকাশ রায়চৌধুরীরা। তিনি আবার গোষ্ঠীকোন্দলের কথা শুনতেই নারাজ। বলেন, “মন্ত্র একটাই তৃণমূল কংগ্রেস, নাম একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মতান্তরের কোনও জায়গাই নেই। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। অসীমা পুরনো কর্মী, এখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কোনও কারণে হয়ত ভুল বুঝেছে, দেখে নেওয়া হচ্ছে।”
তবে বিজেপি মোটে এই সুযোগ ছাড়তে নারাজ। দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা জানার খোঁচা, “বিজয়া সম্মিলনীতে অসীমা ধীবরকেই মঞ্চে উঠতে দিল না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূল যে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল, সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট হল সেখানেই।”