প্রার্থীকে নিয়ে বিক্ষোভ, প্রচারে বেরতে বারণ অনুব্রতর! দুবরাজপুরে নতুন করে প্রার্থী ঘোষণার জল্পনা
"বিষয়টি দাদা (পড়ুন অনুব্রত মণ্ডল) আমাকে যখন বললেন, অপমানিত, অসম্মানিত হয়েছি'' প্রচারে বারণ নিয়ে মন্তব্য দুবরাজপুরের প্রার্থীর
বীরভূম: রাজ্যের ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ২৯১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু জেলায় জেলায় বিভিন্ন প্রার্থীকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেতা ও কর্মীদের একাংশ। একই সমস্যার মুখোমুখি বীরভূমের দুবরাজপুরও। তাই সরাসরি দুবরাজপুরের প্রার্থী অসীমা ধীবর (Asima Dhibar) কে প্রচারে বেরতে বারণ করে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ‘কেষ্টদা’র কাছ থেকে এমন নিদান পেয়ে ‘অপমানিত’ লাগছে বলে মন্তব্য করলেন দুবরাজপুরের প্রার্থী। যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা প্রবল হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত ৫ তারিখ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দুবরাজপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে অসীমা ধীবরের নাম ঘোষণা করেছিলেন মমতা। কিন্তু নরেশ বাউড়িকে সরিয়ে তাঁর নাম ঘোষনা হওয়ার পরই থেকেই শুরু হয় বিড়ম্বনা। দলের একাংশ প্রার্থী হিসাবে অসীমা দেবীকে মানতে নারাজ। যদিও এর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারও করছিলেন অসীমা। চলছিল তাঁর নামে দেওয়াল লিখনের কাজও। এদিকে দলের বিক্ষুব্ধ অংশ সেই দেওয়াল লিখন মুছে ফেলেন। এবার সরাসরি অসীমা দেবীকে তাকে প্রচার বেরতে মানা করছেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অন্তত প্রার্থী অসীমা ধীবর নিজেই এমনই দাবি করেছেন। তিনি যোগ করেন, “বিষয়টি দাদা (পড়ুন অনুব্রত মণ্ডল) আমাকে যখন বললেন, অপমানিত, অসম্মানিত হয়েছি। মনে হচ্ছে, আমার নামটা ঘোষনা না করলেই পারতেন।” খোদ প্রার্থীর মুখে এ কথা শুনে দুবরাজপুরে নতুন করে প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশ বাউড়িকে সড়িয়ে অসীমা ধীবরকে প্রার্থী করে তৃণমূল। কিন্ত নরেশ বাউড়ি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলেই জানেন এলাকার মানুষ। এদিকে খয়রাশোল এবং দুবরাজপুরের বিস্তীর্ণ অংশের তৃণমূল নেতৃত্বের প্রার্থী হিসেবে অসীমা ধীবরকে পছন্দ নয়। তাঁরা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কাছে এই মর্মে আবেদন জানান। প্রার্থী বদলের কথাও বলেন। এর পরে অসীমা নিজেই জানালেন তাঁকে প্রচারে বেরতে বারণ করে দিয়েছেন অনুব্রত। যদিও এ নিয়ে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।