Bagtui Case: বছর ঘুরল বগটুই গণহত্যার, আজও ডেথ সার্টিফিকেট পায়নি সাত পরিবার

Birbhum: সেদিনের ঘটনায় ১০ জন মারা গেলেও তিনজনের পরিবার ডেথ সার্টিফিকেট পায়। বাকি সাতজনের মৃত্যুর শংসাপত্র আজও হাতে পায়নি পরিবার।

Bagtui Case: বছর ঘুরল বগটুই গণহত্যার, আজও ডেথ সার্টিফিকেট পায়নি সাত পরিবার
এখানেই হয়েছিল বগটুই হত্যাকাণ্ড
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 1:57 PM

বীরভূম: দেখতে দেখতে একটা বছর পার হয়ে গেল বগটুই (Bagtui) গণহত্যার। ২০২২ সালের ২১ মার্চের হাড় হিম করা সেইদিনটার ক্ষত এখনও টাটকা গ্রামের মানুষের মনে। আজও ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পায়নি গণহত্যার শিকার সাতটি পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, সেদিন ময়না তদন্ত ছাড়াই পুড়ে খাক দেহগুলোর শেষকৃত্য করা হয়। এরপর একটা বছরে বহু কিছু দেখল বগটুই। অথচ বগটুইয়ের সেই পরিবারগুলো প্রশাসনের পায়ে মাথা কুটেও হাতে পায়নি প্রিয়জনের মৃত্যুর শংসাপত্র।

২১ মার্চ, ২০২২। রাত তখন সাড়ে ৯টা। পোড়া মাংসের গন্ধ বগটুই গ্রামজুড়ে। নিমেষে গোটা বাংলা জেনে গিয়েছিল বীরভূমের সেই গ্রামটার নাম। এরপর ময়ূরাক্ষী দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। রাজনীতির টানাপোড়েন, সিবিআই তদন্ত পেরিয়ে বছর পার করেছে বগটুই গণহত্যা। আজও গণহত্যার শিকার মানুষগুলোর ডেথ সার্টিফিকেট পায়নি বেশ কয়েকটি পরিবার।

কিরণ শেখ হারিয়েছিলেন তাঁর প্রিয়জনকে। তিনিই জানালেন, “দেহ হস্তান্তর করেছে। দেহ আননোন লেখা হয় পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে। আমরা এখনও অবধি ডেথ সার্টিফিকেট পাইনি। বলতে যাচ্ছি, তখন বলছে বডি তো চেনা যায়নি। কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেটটা দেব?”

সূত্রের খবর, সেদিনের ঘটনায় ১০ জন মারা গেলেও তিনজনের পরিবার ডেথ সার্টিফিকেট পায়। বাকি সাতজনের মৃত্যুর শংসাপত্র আজও হাতে পায়নি পরিবার। ডেথ সার্টিফিকেটই যদি না পান, বিচার কোথা থেকে পাবেন, প্রশ্ন তুলছেন পরিবারের লোকেরা।

গত বছর ২১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ রামপুরহাটে জাতীয় সড়কের ধারে বোমা মেরে খুন করা হয় স্থানীয় বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। অভিযোগ, সেই খুনেরই বদলা নিতে বগটুই গ্রামে সেদিন রাতে হামলা করা হয়। অভিযোগ, বেছে বেছে ভাদুবিরোধী গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। পুড়ে খাক হয়ে যায় ৯ বছরের শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধা। শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে সদ্য বিবাহিত মেয়ে জামাইকেও হিংসার আগুনে পুড়ে মরতে হয়।