Visva Bharati: আগামিকালই চূড়ান্ত ফয়সলা নেবে বিশ্বভারতী, জানিয়ে দিল অমর্ত্য সেনকে
Birbhum: বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সেখানে অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, জুন মাসে তিনি শান্তিনিকেতনে আসছেন। তবে বিশ্বভারতীর সঙ্গে তাঁর জমিবিবাদ যে এখনই মিটছে না তা স্পষ্ট ওই চিঠিতে।
বোলপুর: জমি বিতর্কে মুখ খুললেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। গত ১৪ এপ্রিল বিশ্বভারতীর তরফে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে নোটিস দেওয়া হয়। নোটিসে উল্লেখ করা হয়, ১৯ এপ্রিল এই জমি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ আগামিকাল বুধবার এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। তবে তার আগে ১৭ এপ্রিলই বিশ্বভারতীকে চিঠি দিলেন অমর্ত্য সেন। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সেখানে অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, জুন মাসে তিনি শান্তিনিকেতনে আসছেন। তবে বিশ্বভারতীর সঙ্গে তাঁর জমিবিবাদ যে এখনই মিটছে না তা স্পষ্ট ওই চিঠিতে।
সূত্রের খবর, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীপক্ষকে জানিয়েছেন, জমির লিজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাতে কোনও দাবি করতে পারে না বিশ্বভারতী। প্রসঙ্গত বিশ্বভারতীর শুনানিতে ১৩ এপ্রিল থাকার কথা ছিল অমর্ত্য সেনের। বিদেশে থাকার কারণে তিনি সেখানে যোগ দিতে পারেননি।
অমর্ত্য সেনের বোলপুরের ‘প্রতীচি’ বাড়ির সীমানাবর্তী যে জমি, তা নিয়েই বিতর্ক চলছে। ১.৩৮ একর জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিশ্বভারতীর অভিযোগ, অমর্ত্য সেন তাদের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। সেই জমি খালি করার নোটিসও পাঠানো হয় নোবেলজয়ীকে। যদিও অমর্ত্য সেনের বক্তব্য, এ জমি তাঁর বাবার। প্রয়োজনীয় নথিও রয়েছে তাঁর কাছে। বিশ্বভারতী জোর করে তা নিয়ে নিতে চাইছে।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিশ্বভারতীর তরফে একটি ইমেল করা হয় অমর্ত্য সেনের আইনজীবীকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে সেই ইমেলে বলা হয়, ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী আগামী ১৯ এপ্রিল কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করে দখল নেওয়া হবে।