‘সেবা-ই সংগঠন’, বিজেপির সেবা-সপ্তাহে দুঃস্থদের হাতে খাবার তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী

বিজেপি সাংসদ বলেন, "কেন্দ্রে আমাদের সরকারের (BJP Government) এ বার সপ্তম বর্ষপূর্তি। প্রতিবছরই সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্য়ে আমরা 'সেবা-ই সংগঠন'নামে সেবা-সপ্তাহ পালন করি। এই দিনগুলিতে আমরা দুঃস্থ ও দরিদ্রদের হাতে খাবার তুলে দিই।"

'সেবা-ই সংগঠন', বিজেপির সেবা-সপ্তাহে দুঃস্থদের হাতে খাবার তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী
সেবা সপ্তাহে দেবশ্রী, ছবিসূত্র: ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: May 30, 2021 | 6:42 PM

উত্তর দিনাজপুর: দিল্লি এখন গৈরিক। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) সপ্তম বর্ষপূর্তিতে গোটা ভারত জুড়ে বিজেপির তরফে পালিত হচ্ছে ‘সেবা সপ্তাহ’। মে মাসের শেষ রবিবারে, উত্তর দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ‘সেবা সংগঠন’ পালন করলেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী (Debasree Chaudhury)। কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশন ও রায়গঞ্জের এম জি রোডের ধারে দুঃস্থদের হাতে খাবার তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়, বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার-সহ অন্যান্যরা।

রবিবার, বিজেপি সাংসদ বলেন, “কেন্দ্রে আমাদের সরকারের (BJP Government) এ বার সপ্তম বর্ষপূর্তি। প্রতিবছরই সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্য়ে আমরা ‘সেবা-ই সংগঠন’নামে সেবা-সপ্তাহ পালন করি। এই দিনগুলিতে আমরা দুঃস্থ ও দরিদ্রদের হাতে খাবার তুলে দিই। আজও, কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আমরা দুঃস্থদের খাবার, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করলাম। আমাদের দলের বিধায়ক, সভাপতি, মণ্ডল সভাপতি ও কর্মীরা মিলে এই কর্মসূচি পালন করেছি। শুধু আমরা নই, গোটা ভারতেই ওই সেবা সপ্তাহ পালন করা হয়। আমরা মনে করি, আমাদের সংগঠন মানুষের সেবাতেই নিয়োজিত। তাই, মানুষের পাশে থাকাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।” করোনাকালে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ প্রসঙ্গে দেবশ্রী বলেন, “করোনার কথা মাথায় রেখেই আমরা কোভিড বিধি মেনে এই কাজ করছি। শুধু খাবার দিচ্ছি এমন নয়, প্রয়োজনে ওষুধ, বিনামূল্যে অক্সিজেন ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বা কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এসবই ‘সেবা সপ্তাহ’-এর মধ্যে করা হচ্ছে।” এদিন, প্রায় শতাধিক মানুষের হাতে খাবার তুলে দেন দেবশ্রী। মেনুতে ছিল, ভাত, ডাল, সবজি, পনিরের তরকারি, পাঁপড় ভাজা।

সাত বছর আগে আজকের দিনেই দিল্লির মসনদে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল, রামমন্দির নির্মাণ, তিন তালাক বাতিলের মতো সাফল্যব্যঞ্জক কাজের পরেও প্রথম পাঁচবছরের মতো মসৃণ নেই বিজেপির যাত্রা। করোনা অতিমারীর প্রকোপ, কৃষক আন্দোলন, এনআরসি-সিএএ ইস্য়ুর মতো গুরুগম্ভীর ঘটনাবলী ক্রমশই ভারতীয় জনগণের কাছে বিজেপির নঞর্থক ছবি তৈরি করেছে। ধীরে ধীরে কেন্দ্রের উপর থেকে মানুষের আস্থা কমে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। ‘ব্যক্তি মোদী ফ্য়াক্টর’ জনপ্রিয় হলেও বাদ সেধেছে করোনা কালে সরকারের অপরিণামদর্শিতা। রয়েছে বিরোধীদের চাপও। পাশাপাশি, বঙ্গ নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি জাতীয় স্তরেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। ২০২৪- বাংলায় লোকসভা নির্বাচন, তার আগে ২০২২-এ পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) রয়েছে। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের আশঙ্কা, আসন্ন নির্বাচনগুলিতে দলকে এই ‘ব্যর্থতার’ ফল ভুগতে হবে। তাই, উৎসব সমারোহে না গিয়ে মানুষের পাশে থেকে জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশলকেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি (BJP)। সেই উপলক্ষ্যেই পালিত হচ্ছে ‘সেবা সপ্তাহ’, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

আরও পড়ুন: ‘মোদী দাদা, মমতা বোন, ওঁদের বৈঠকের অন্তরায় রাজ্য বিজেপি’, বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ