নাড্ডার মুখেও ‘জয় বাংলা’! তিলি, মাহিষ্যদের ‘সম্মান’ দিতে বড় ঘোষণা বিজেপির
কোতুলপুরে এক জনসভা থেকে বক্তব্য শেষ করার সময় 'জয় বাংলা' বলতে শোনা যায় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda)। পাশাপাশি নানা ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) নিশানায় নিয়েছেন তিনি।
কলকাতা: বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কণ্ঠেও এ বার শোনা গেল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। মঙ্গলবার কোতুলপুরে এক জনসভা থেকে বক্তব্য শেষ করার সময় ‘জয় বাংলা’ বলতে শোনা যায় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতিকে। পাশাপাশি নানা ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) নিশানায় নিয়েছেন তিনি। তবে আজকের ভাষণে নাড্ডা উল্লেখযোগ্যভাবে জাতি সংরক্ষণ নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
কোতুলপুরের সভা থেকে জেপি নাড্ডাকে এ দিন বলেন, “তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে মমতাদিদি হিন্দু ধর্মের মাহিষ্য, তিলির মতো অনগ্রসর জনজাতিকে সংরক্ষণের আওতা থেকে বাইরে রেখেছেন। আমাদের সরকার এসে কমিটি গঠন করে মণ্ডল কমিশনে যত জাতির কথা লেখা রয়েছে সবাইকে সম্মান দিয়ে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে।”
রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সংবাদ মাধ্যম সূত্র মারফৎ মঙ্গলবারই জানা গিয়েছে, তৃণমূল নিজের ইস্তেহারে তিলি, সাহা, মাহিষ্য, তামূল সম্প্রদায়ভুক্ত অনগ্রসর জনজাতিদের সংরক্ষণের আওতায় আনার পাশাপাশি ওবিসি শংসাপত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাড্ডা এই ঘোষণা করেন প্রকাশ্য জনসভায়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, যে জাতিগুলির কথা জেপি নাড্ডা উল্লেখ করেছেন বা যে জনজাতির কথা তৃণমূলের প্রস্তাবিত ইস্তেহারে রয়েছে, সেগুলি অবিভক্ত মেদিনীপুরের অন্যতম অধ্যুষিত জনজাতি। ফলে নাড্ডার এই আশ্বাস রাজনৈতিকভাবে এবং ভোটের নিরিখেও বেশ অর্থবহ হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা, এ বারের বঙ্গ যুদ্ধে আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে মেদিনীপুরই। আরও একটি বিষয় নজর কেড়েছে পর্যবেক্ষকদের। তা হল, মেরুকরণের প্রবণতা এর আগে বঙ্গ রাজনীতিতে দেখা গেলেও হিন্দু ধর্মের মধ্যেই জাতি সংরক্ষণ নিয়ে এভাবে সরব হতে দেখা যায়নি বিজেপি নেতাদের।
আরও পড়ুন: নবান্নে ‘না’, ক্ষমতায় এলে মহাকরণে সচিবালয় ফেরাবে বিজেপি
এ ছাড়াও আজকের সভা থেকে নাড্ডাকে বলতে শোনা যায়, “মহিলাদের উপর অন্যায়ের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে এক নম্বরে বাংলা। আগামিদিনে বাংলার মানুষ এর জবাব চাইবে। বাংলায় তোলাবাজি হয়েছে, আর কিছু হয়নি। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চণ্ডীপাঠ করছেন। কিন্তু এখন খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: মমতার হয়ে প্রচারে শরদ-তেজস্বী! বেঁকে বসল প্রদেশ কংগ্রেস