Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Budhni Mejhan: প্রয়াত ‘নেহরুর বউ’ বুধনি মেঝান, অপবাদ নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের সমাপ্তি

Budhni Mejhan: সালটা ১৯৫৯। ৬ ডিসেম্বর। ডিভিসির পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধনে আসানসোলে এসেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরু। ওই দিন আদিবাসীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বুধনি মেঝান। তাঁর হাত থেকে জওহরলাল নেহরু পাঞ্চেত ড্যামের উদ্বোধন করেছিলেন।

Budhni Mejhan: প্রয়াত 'নেহরুর বউ' বুধনি মেঝান, অপবাদ নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের সমাপ্তি
বুধনি মেঝানImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2023 | 2:39 PM

আসানসোল: এলাকায় পরিচিত ছিলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর স্ত্রী হিসাবে। প্রয়াত হলেন সেই বুধনি মেঝান। শুক্রবার রাত্রিবেলা বেসরকারি একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। শনিবার সকালে নিজের আবাসনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মহিলা।

সালটা ১৯৫৯। ৬ ডিসেম্বর। ডিভিসির পাঞ্চেত জলাধারের উদ্বোধনে আসানসোলে এসেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরু। ওই দিন আদিবাসীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বুধনি মেঝান। তাঁর হাত থেকে জওহরলাল নেহরু পাঞ্চেত ড্যামের উদ্বোধন করেছিলেন। অনুষ্ঠান স্থলেই নেহরুকে মালা পরিয়েছিলেন বুধনি। তাঁকেও সম্মান জানাতে সেই মালা পরিয়ে দেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

তারপর থেকেই শুরু বিতর্ক। বুধনিকে পরিত্যাগ করে তাঁদের আদিবাসী সমাজ। ‘নেহরুর বউ’ বলে কটাক্ষ করা হয়। এমনকী গ্রাম ছেড়ে চলে যেতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর হারিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ খুঁজে বের করেন তাঁকে। হারানো চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে বয়সের সঙ্গে-সঙ্গে-সঙ্গে অবসর নিয়েছিলেন বুদ্ধি মেঝান।

কিন্তু ডিভিসির আবাসনেই থাকতেন তিনি। কিন্তু জীবনে তিনি সঠিক সম্মান পাননি বলেই দাবি এলাকাবাসীদের। তার গ্রামেও ফিরে যেতে পারেনি আর কোনও দিন। শুক্রবার তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে পাঞ্চেত শ্মশানে। তার আগে ডিভিসির পক্ষ থেকে তাকে সম্মান জানানো হয়। সম্মান দেওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও।