পাট পচাতে নেমেছিল বছর চল্লিশের কৃষক, ভেসে গেল জলের তোড়ে
Jute Cultivation: আষাঢ় শ্রাবণের ভরা বর্ষায় পাট তোলা হয়। সে সময় স্থানীয় নদী কিংবা জলাশয়ে পাট জাগ দেন পাট চাষিরা। গ্রাম বাংলার চিরন্তনী এই দৃশ্য।
কোচবিহার: পাট চাষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল পাট জাক দেওয়া। পাটের জাক আসলে পাট পচানো। সেই পাট পচাতে গিয়েই বীভৎস ঘটনা ঘটল এক পাট চাষির সঙ্গে। নদীতে তলিয়ে গেলেন তিনি। দিনহাটা-২ ব্লকের কিসামত দশগ্রাম অঞ্চলের কদমতলার ঘটনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ব্যক্তির কোনও খোঁজ মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পাট জাক দিতে স্থানীয় বানিয়াদহ নদীতে যান বছর চল্লিশের নৃপেণ বর্মন। এদিকে সেই সময় নদীতে জলের স্রোত বেশি থাকায় ডুবে যান তিনি। জানাজানি হতেই আশেপাশের এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসেন। যতটা সম্ভব জলে নেমে খোঁজও করেন। কিন্তু সন্ধ্যা অবধি তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
খবর দেওয়া হয় সাহেবগঞ্জ থানাতেও। পুলিশ ও দিনহাটা-১ ব্লকের বিডিও মদনমোহন মুর্মুও ঘটনাস্থলে যান। তাঁর তৎপরতায় জলে নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দলও। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশির চালালেও কারও কোনও খোঁজ মেলেনি। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার ফের ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হবে।L
আরও পড়ুন: পড়শি রাজ্য থেকে ট্রেনে চেপে এসে এটিএম জালিয়াতিই ছিল কাজ! পুলিশের জিম্মায় জামতাড়া গ্যাংয়ের ৪
প্রাক বর্ষায় পাটের বীজ বপন করা হয়। জ্যৈষ্ঠের গরমে তার পরিচর্যার পর আষাঢ় শ্রাবণের ভরা বর্ষায় পাট তোলা হয়। সে সময় স্থানীয় নদী কিংবা জলাশয়ে পাট জাগ দেন পাট চাষিরা। গ্রাম বাংলার চিরন্তনী এই দৃশ্য। কিন্তু বর্ষায় পাট পচাতে গিয়ে প্রায়ই বড় বিপদের মুখে পড়তে হয় কৃষকদের। এদিনও সে ছবিই দেখা গেল দিনহাটায়।