Cooch Behar: দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ঘরের ‘লক্ষ্মী’কে ন্যাড়া করল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন, রাতেই ছুটতে ছুটতে বাপের বাড়ি এসে ‘অ্যাকশনে’ গৃহবধূ

Cooch Behar: সাত দিন আগে দিনহাটার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে কাজ না হওয়ায় এবার পুলিশ-প্রশাসনের উঁচুতলায় অভিযোগ করবেন বলে জানাচ্ছেন ওই গৃহবধূ।

Cooch Behar: দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ঘরের ‘লক্ষ্মী’কে ন্যাড়া করল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন, রাতেই ছুটতে ছুটতে বাপের বাড়ি এসে ‘অ্যাকশনে’ গৃহবধূ
ক্ষোভে ফুঁসছেন গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2024 | 6:10 PM

কোচবিহার: দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। বর্বরতার ছবি এবার দিনহাটায়। দরিদ্র বাবার টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তাতেই ঘরের বউয়ের চলতো নির্যাতন। অভিযোগ এমনটাই। এদিন দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে কাঁচি দিয়ে গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। 

দিন সাতেক আগে দিনহাটার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। লোকাল থানায় অভিযোগ দায়ের করে কাজ না হওয়ায় এবার পুলিশ-প্রশাসনের উঁচুতলায় অভিযোগ করবেন বলে জানাচ্ছেন ওই গৃহবধূ। দিনহাটার ভেটাগুড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাডাঙা এলাকার এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোরও শুরু হয়ে গিয়েছে এলাকায়। 

জানা গিয়েছে, গত আট বছর আগে ব্রহ্মাণের চৌকি এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় ভেটাগুড়ির বালাডাঙার এক যুবকের। বিয়ের সময় যুবকের পরিবারের দাবি মতো বেশ কিছু যৌতুকও দেয় ওই তরুণীর পরিবার। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তরুণীর উপর অত্যাচার শুরু হয়। শুধুমাত্র স্বামীই নয়, শাশুরি, পিসি, ননদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠে আসে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের। মাঝেমধ্যেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হতো বলে জানাচ্ছেন ওই গৃহবধূ। টাকার দাবি পূরণ না  হলেই চলত বেধড়ক মারধর। গত সাত দিন আগে সেই অত্যাচার একেবারে চরমে পৌঁছায়।

অভিযোগ, স্বামী এবং পরিবারের সকলে মিলে তাঁকে হাত-পা বেঁধে মারধর শুরু করে। কাঁচি দিয়ে তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। রাতে মুক্তি মিললে সোজা বাপের বাড়ি চলে আসেন তিনি। ততক্ষণে তিনি বেশ অসুস্থ। বাপের বাড়ির লোকজনই দ্রুত তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে দিনহাটা মহিলা থানায় স্বামী,  শাশুড়ি, পিসি শাশুড়ি ও পিসতুতো ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। এদিকে অভিযোগ দায়ের করার পর ৭ দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। পলাতক সকলেই। তাতেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ওই তরুণীর বাপের বাড়ির লোকজন। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বাবাও।