TMC Leader Threat: ‘গতবার অঙ্ক মেলেনি,৭০০০ ভোটে হেরেছি, এইবার BJP যদি ভোট পায়…’, প্রচারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি TMC নেতার
Coochbehar: দিনহাটা চওড়াহাট বাজারের কোনও ব্যবসায়ী যদি এবার বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবে এবং বিজেপির হয়ে প্রচারের কথা চিন্তা করে তাহলে এর ফল তাঁদেরকে ভুগতে হবে বলেও জানিয়ে দেন ওই তৃণমূল নেতা।
দিনহাটা: ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। প্রচারে সব রাজনৈতিক দল। লাগু হয়েছে নির্বাচনী আচরণ বিধি। এই পরিস্থিতিতেই আবার তৃণমূল নেতার হুমকি ঘিরে জোর চাঞ্চল্য কোচবিহারের দিনহাটা শহরে। শুধু তাই নয়, এলাকা থেকে যাতে বিজেপির হয়ে ভোটের কেউ প্রচার না করে সেই নিয়েও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দিনহাটা চওড়াহাট বাজারের কোনও ব্যবসায়ী যদি এবার বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবে এবং বিজেপির হয়ে প্রচারের কথা চিন্তা করে তাহলে এর ফল তাঁদেরকে ভুগতে হবে বলেও জানিয়ে দেন ওই তৃণমূল নেতা।
মঙ্গলবার আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলেন ব্লক তৃণমূল নেতা বিশু ধর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ঘনিষ্ঠ তিনি বলেই এলাকায় পরিচিত। কোচবিহার জেলা লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রার্থী জগদীশ বসুনিয়ার সমর্থনে দিনহাটার চওড়াহাট বাজারে ভোট প্রচারে বেরিয়ে কার্যত আঙুল উঁচিয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি দিতে দেখা গেল বিশুবাবুকে। দোকান-দোকানে গিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। কখনও বলছেন, “বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার পর আপনারা বিপদে পড়লে আমাদের কাছে যাবেন না। নিশীথ প্রামাণিকের কাছে যাবেন।” এরপর আবার তার হুঁশিয়ারি, “এখান থেকে পদ্মফুলের কোনও প্রচার হবে না। এটা পরিষ্কার” আবার নিজেই বললেন, “কেউ যদি মনে করেন এটা হুঁশিয়ারি তাহলে এটা হুঁশিয়ারি।” তাঁর দাবি, “উদয়ন গুহর দরজা সব সময় খোলা থাকে। তবে নিশীথ প্রামাণিককে পাওয়া যায় না। “যে লোক কাজ করবে না, তাঁদের ভোট দেওয়া যাবে না।”
শুধু তাই নয়, এই এলাকা থেকে ভোট অন্য কোথাও গেলে দেখে নেওয়া হবে বলেও জানালেন তিনি। বিশু ধর আরও বলেন, তাঁরা সারা বছর চওড়াহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থাকেন। অথচ বিগত নির্বাচনে এই চওড়াহাট বাজারেই তথা দিনহাটা শহরে তৃণমূল কংগ্রেস সাত হাজার ভোটে হেরেছে। তাদের বিধানসভা আসনের প্রার্থী তথা মন্ত্রী উদয়ন গুহও কয়েক ভোটে হেরেছেন। তৃণমূল নেতা বললেন, “আগেরবার অঙ্ক মেলাতে পারিনি। ৭০০০ হাজার ভোটে হেরেছি। আর এই চওড়াহাট বাজার থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এসেছে। আমরা যদি জানতে পারি এই এলাকা থেকে একটা ভোট বাইরে গিয়েছে, তাহলে পাশে পাওয়া যাবে না।” ঊযদিও, পাল্টা এলাকার বিজেপি নেতা বলেছেন, “ওদের নরকের কিট ছাড়া আর কেউ কিছু ভাবে না।”