Panchayat Election 2023:পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে পুনর্গণনার জন্য চাপ, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তুলে ধরে টুইট সুকান্তর
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছে জেলা প্রশাসনের। অভিযোগ, সেখানেই বিডিও গোটা বিষয়টি লেখেন। এমনও অভিযোগ করেন, বুধবার দুপুরে তৃণমূলের পাঠানো লোকজন স্নেহলতাকে জেতানোর জন্য তাঁর কাছে রিকাউন্টিং করানোর কথা বলেন।
বালুরঘাট: ভোটের ফলপ্রকাশের পর এবার নতুন নতুন অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বালুরঘাটে অভিযোগ উঠছে, তৃণমূলের হেরে যাওয়া প্রার্থীকে জেতাতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বিডিওকে। টুইটারে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট শেয়ার করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, যিনি বালুরঘাটের সাংসদও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপানউতর তৈরি হয়েছে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির আসনে হেরে গিয়েছেন তৃণমূলের ওই প্রার্থী। এরপরই বিডিওকে চাপ দেওয়া হয়, পুনর্গণনা করে জিতিয়ে দিতে হবে তাঁকে। যদিও কোনওরকম চাপ দেওয়া হয়নি বলেই ভাটপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রমের দাবি। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানান, এই বিষয়ে এখনও কোনও অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছে জেলা প্রশাসনের। অভিযোগ, সেখানেই গোটা বিষয়টি লেখা হয়। এমনও অভিযোগ করেন, বুধবার দুপুরে তৃণমূলের পাঠানো লোকজন স্নেহলতাকে জেতানোর জন্য তাঁর কাছে রিকাউন্টিং করানোর কথা বলেন। বিডিওর সেই অভিযোগপত্র ও একটি সিসিটিভি ফুটেজ টুইট করেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের হারানো হয়েছে। কয়েকজনকে জেতাতে না পারার জন্য এমনটা করেছে তৃণমূল। যদিও স্নেহলতা হেমব্রম বলেন, “আমি পুনর্গণনার জন্য আবেদন করি ঠিকই। আমি গিয়েছিলাম। তবে কোনও চাপ সৃষ্টি আমরা করিনি। কাউকে আমি নিয়েও যাইনি।”
এ বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিডিওকেও হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। তার মানে বোঝাই যাচ্ছে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে।” তবে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকির বক্তব্য, বিজেপি একটা নিয়ে ভুল তথ্য তুলে ধরছে। স্নেহলতা হেমব্রম কিছু বিষয়ে জানতে গিয়েছিলেন। বিডিও তো কোনও অভিযোগ করেননি। করলে তা পুলিশ দেখবে।