WB Panchayat Polls 2023: নদীর ধারে জঙ্গলের মাঝে পড়ে ব্যালট পেপার, জাঙ্গিপাড়ার পর এবার কুমারগঞ্জ
WB Panchayat Polls 2023: কুমারগঞ্জ ব্লকের ভোট গণনা হয়েছে কুমারগঞ্জ হাইস্কুলে। আর সেই স্কুলের পিছন দিকেই রয়েছে আত্রেয়ী নদী।
কুমারগঞ্জ: ভোট গণনা শেষ হয়েছে বুধবার। তারপরই জঙ্গলের মাঝে পড়ে থাকতে দেখা গেল ব্যালট পেপার। বাতিল নয়, এগুলি সঠিক ব্যালট বলেই দাবি বিজেপির। উদ্ধার হওয়া সে সব ব্যালটের বেশির ভাগেই নাকি ভোট পড়েছে বিজেপিতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এভাবে ব্যালট উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের কুমারগঞ্জ হাইস্কুলের পাশে। আত্রেয়ী নদীর ধারে ঘুরতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়ে যায় সেই সব ব্যালট। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কারচুপি করেই তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। বিজেপির আশঙ্কা, শুধু ওই বুথের নয়, অন্যান্য বুথের ব্যালট পেপারও এভাবে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
কুমারগঞ্জ ব্লকের ভোট গণনা হয়েছে কুমারগঞ্জ হাইস্কুলে। আর সেই স্কুলের পিছন দিকেই রয়েছে আত্রেয়ী নদী। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কুমারগঞ্জ থানারও পুলিশ। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
জেলা বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে নদীর ধার থেকে। প্রায় সবকটিতেই বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ব্যালটে ভোট পড়েছে তৃণমূলে। এগুলি মূলত কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন অঞ্চলের ৯ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের ব্যালট। এতদিন পর্যন্ত বটুন অঞ্চল বিজেপির দখলে ছিল। তাই বিজেপি প্রার্থীদের হারাতেই এভাবে ব্যালট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন সাধারণ মানুষ। এবার রাজনীতিতে নিজের মুখ বাঁচানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছেন উনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা মৃগাঙ্ক সাহা জানিয়েছেন, তিনি নদীর ধারে গিয়ে ব্যালটগুলি দেখতে পান। তাঁর দাবি, কোনও বাতিল ব্যালট নয়, এগুলি সবই সঠিক।
সম্প্রতি একই রকম ঘটনায় মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। হুগলির জাঙ্গিপাড়াতেও বুথের বাইরে ব্যালট পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। সেই অভিযোগে মামলা হয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। কেন এমন ঘটনা ঘটল, এই ঘটনার দায় কার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে উত্তর চেয়েথে হাইকোর্ট।