Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Balurghat: সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় কাটমানির অভিযোগ, টাকা দিলে খারাপ ধানও ‘ক্রয়’

Balurghat: মিল কর্মী বাবুন মুন্সি বলেন, "সরকারি নিয়ম আছে ১৭ পার্সেন্ট ময়েশ্চারের কথা। সেখানে কারও ১৭.৬ কারও ১৮ কারও আবার ১৯ হচ্ছে। এই ময়েশ্চারের ধান আমরা নিতে পারব না। এটা সরকারের নির্দেশ। আর যাঁরা ৫০ কিলোর বেশি দিচ্ছেন বলে দাবি করছেন, আমরা তো তাঁদের তা দিতে বলছি না। ধান আমরা কিনব।"

Balurghat: সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় কাটমানির অভিযোগ, টাকা দিলে খারাপ ধানও 'ক্রয়'
ধান বিক্রিতে কাটমানির অভিযোগ। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2023 | 5:40 PM

বালুরঘাট: সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে এসেও কাটমানি দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। অভিযোগ, ধানের মান খারাপ হলেও টাকা দিলেই তা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অথচ কোনও ধানে আর্দ্রতার পরিমাণ নির্ধারিতর থেকে সামান্য বেশি হলেই তা ফিরিয়ে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার বালুরঘাট কিষাণ মান্ডিতে খারাপ ধান বলে কৃষকদের কাছ থেকে সেই ধান নিতে অস্বীকার করেন কর্মীরা। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা। রাইস মিলের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। আসেন ডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৌশিক চৌধুরীও। ক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। যদিও কাটমানি নেওয়ার কথা মানতে চাননি মিল কর্তৃপক্ষ।

প্রায় এক মাস হতে চলল বালুরঘাট ব্লকের কিষাণ মান্ডিতে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৬০ জন কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনছেন মিল মালিকরা। বৃহস্পতিবার বালুরঘাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৬০ জন কৃষক ধান বিক্রি করতে আসেন। নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত ধলতা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। আর্দ্রতাজনিত কারণে ধানের ক্ষেত্রে মূল ওজনের থেকে কিছুটা বেশি নেওয়াকে গ্রাম্য ভাষায় বলে ধলতা।

কৃষকদের দাবি, তাঁরা প্রতি বস্তাতেই কিছুটা বেশি ধান দিচ্ছেন। অভিযোগ, অতিরিক্ত ধান দেওয়ার পরও ধান খারাপ বলে তা নেওয়া হচ্ছে না। তবে টাকা দিলে তা মিল নিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও মিল কর্মী বাবুন মুন্সি বলেন, “সরকারি নিয়ম আছে ১৭ পার্সেন্ট ময়েশ্চারের কথা। সেখানে কারও ১৭.৬ কারও ১৮ কারও আবার ১৯ হচ্ছে। এই ময়েশ্চারের ধান আমরা নিতে পারব না। এটা সরকারের নির্দেশ। আর যাঁরা ৫০ কিলোর বেশি দিচ্ছেন বলে দাবি করছেন, আমরা তো তাঁদের তা দিতে বলছি না। ধান আমরা কিনব। তবে কৃষকরা নন, ওনাদের সঙ্গে কিছু ফড়ে এসেছে। তারা ঝামেলা করছে।”

ডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৌশিক চৌধুরীর কথায়, “এই রাইস মিল বহুদিন ধরেই ধান কিনছে। তবে এতদিন ওরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছিল। এখন দিচ্ছে না। একটু বেশিই কড়াকড়ি করছে। এডিওকে বিষয়টা জানিয়েছি। আর্দ্রতার পরিমাপ আগে ১৭ হলেও একটু আধটু ছাড় মিলত। কিন্তু এখন ওরা ১৭.৩ ৪ চলেও নিতে চাইছে না।” অনেকে অভিযোগ করছে, এ ক্ষেত্রে টাকা দিলে ছাড় মিলছে। আমরাও অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখনও কোনও প্রমাণ পাইনি। খতিয়ে দেখছি সবটা।