Balurghat: বাবাকে পিটিয়ে ‘খুনের’ পর পাশেই নিশ্চিন্তে ঘুম ছেলের! গ্রেফতার অভিযুক্ত
Balurghat Murder Case: সুভাষের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। রক্তে ভিজে গিয়েছিল খাট। মেঝেতেও টিপটিপ করে পড়ছিল রক্ত। কিছু দূরে পড়ে ছিল রক্তমাখা বাঁশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সন্দেহের অবকাশ নেই, ছেলের আঘাতেই প্রাণ হারিয়েছেন বাবা।

বালুরঘাট: বাবাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। বাবাকে খুন করে মৃতদেহের পাশেই রাত কাটালেন মদ্যপ ছেলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইজানগরে। মৃতের নাম সুভাষ ওঁরাও (৫৪)। গত বুধবার রাতে খুন হন ওই ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামবাসীরা বাড়িতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় খাটে পড়ে রয়েছে সুভাষের দেহ। আর ঠিক তার পাশেই নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে রয়েছেন বড় ছেলে উত্তম। ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙতেই ধরা পড়ে পুরো ঘটনাটি।
সুভাষের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। রক্তে ভিজে গিয়েছিল খাট। মেঝেতেও টিপটিপ করে পড়ছিল রক্ত। কিছু দূরে পড়ে ছিল রক্তমাখা বাঁশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সন্দেহের অবকাশ নেই, ছেলের আঘাতেই প্রাণ হারিয়েছেন বাবা।
খবর পেয়ে তপন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বুধবার রাতে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে মদ্যপান করেছিলেন বড় ছেলে উত্তম। গভীর রাতে বাড়ি ফিরে বাবার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপরই বাবাকে বাঁশ দিয়ে মারধর করেন। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় সুভাষের। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে অভিযুক্ত বড় ছেলে উত্তম। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ছোট ছেলে গৌতমকেও। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তপন থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, প্রায় মাসখানেক আগে সুভাষের স্ত্রীরও মৃত্যু হয়। যদিও তা অসুস্থতার কারণে। তারপর থেকেই পরিবারে অশান্তি বাড়তে থাকে। দুই ছেলেই অবিবাহিত। বড় ছেলে স্থানীয়ভাবে চাষাবাদ করলেও ছোট ছেলে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে মুম্বইয়ে কাজ করেন। সুভাষ ও বড় ছেলে নিয়মিত মদ্যপান করতেন বলেই অভিযোগ। শুক্রবার বিকেলে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
