Money Recovered: খাট, ঠাকুরঘরের বাক্স থরে থরে ছিল সাজানো, পুজোর মুখে বাংলায় ফের উদ্ধার কোটি টাকা
Money Recovered: কিছুদিন আগে অনলাইন গেম ও বেটিং চালানোর অভিযোগে পিন্টু ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় চলে অভিযান। পাশাপাশি লোটো চালানোর অভিযোগে সর্বমঙ্গলা থেকে এর আগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

দক্ষিণ দিনাজপুর: বেটিং চালানোর অভিযোগে আরো দুই যুবককে গ্রেপ্তার করল গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতরা হলেন কুনাল দাস (৩৪) ও অপূর্ব সরকার (৩৭)। তাঁদের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার চাম্পাতলি ও কায়স্থপাড়ায়। রবিবার ধৃতদের তোলা হয় গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বালুরঘাট রঘুনাথপুর এলাকায় অপূর্ব সরকারের শ্বশুর মনোজ মজুমদারের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমান অর্থ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রায় কোটি টাকা। টাকা গোনার জন্য আনা হয়েছে মেশিন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, আরও অনেক টাকা উদ্ধার হবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে অনলাইন গেম ও বেটিং চালানোর অভিযোগে পিন্টু ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় চলে অভিযান। পাশাপাশি লোটো চালানোর অভিযোগে সর্বমঙ্গলা থেকে এর আগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার আরও দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
গঙ্গারামপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক অপূর্ব সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রবিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাটে এসে পৌঁছন গঙ্গারামপুরের এসডিপিও দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিল বালুরঘাট থানার বিশাল বাহিনী। বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকায় অপূর্বর শশুর বাড়িতে বেআইনি বিপুল পরিমাণ টাকার হদিশ পেয়েছে পুলিশ। এদিন শোওয়ার ঘরে খাটের ভেতর থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
এমনকি ঠাকুর ঘরেও একটি বাক্সের মধ্যে লক্ষাধিক টাকার হদিশ মেলার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশের অনুমান, প্রায় কোটি টাকার অঙ্ক ছুঁতে পারে এই টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে তল্লাশি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই কিছু বলা যাবে। যদিও ধৃত অর্ণবের বক্তব্য, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। পুলিশ তাঁকে মিথ্যা সন্দেহ করছে। তিনি এই চক্রে জড়িত নন। এদিকে, বেটিং অ্যাপকাণ্ডে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে। সোমবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বালি পাচার চক্রে ঝাড়গ্রামে সৌরভ রায়ের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৬৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে কিউ আর কোড জালিয়াতি করে রাজস্ব ফাঁকি দিতে, কীভাবে চলত বালি পাচার, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় ইডি তদন্তকারীদের।
