Strike in Darjeeling: মাধ্যমিকের শুরুর দিনেই পাহাড়ে বনধ, পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তির আশঙ্কা

Darjeeling Hills: বিনয় তামাং বলেছেন, যেসব পাহাড়বাসী বাংলা থেকে পাহাড়কে আলাদা করার দাবিকে সমর্থন করেন, তাঁরা যেন এই বনধের পাশে থাকেন। যদিও জরুরি পরিষেবা বনধের আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান তিনি।

Strike in Darjeeling: মাধ্যমিকের শুরুর দিনেই পাহাড়ে বনধ, পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তির আশঙ্কা
দার্জিলিং শহর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 21, 2023 | 2:57 PM

শিলিগুড়ি: ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination 2023)। পড়ুয়াদের শিক্ষা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। আর সেই দিনেই বনধ পাহাড়ে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ে বনধের (Darjeeling Bandh) ডাক দিলেন বিনয় তামাং। ফলে মাধ্যমিকের শুরুর দিনেই ফের পাহাড় অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিনয় তামাং-এর বক্তব্য, বিধানসভায় বলা হয়েছে পাহাড় আলাদা হবে না। তারই প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছেন তিনি। জিটিএ-র নির্বাচিত ৯ জনপ্রতিনিধি চব্বিশ ঘণ্টার জন্য অনশনে বসেছেন। এর পাশাপাশি ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে। তিনি বলেছেন, যেসব পাহাড়বাসী বাংলা থেকে পাহাড়কে আলাদা করার দাবিকে সমর্থন করেন, তাঁরা যেন এই বনধের পাশে থাকেন। যদিও জরুরি পরিষেবা বনধের আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে মাধ্যমিকের শুরুর দিনে এই বনধের ডাকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন। বিকেলে শিলিগুড়িতে একটি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের ঠিক আগেই বিনয় তামাংয়ের এই বনধের ডাক স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে মাধ্যমিকের দিনে এই বনধের ডাক দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে সব রাজনৈতিক দলগুলিই।

উল্লেখ্য, গতকালই রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব। বিধানসভায় সেই প্রস্তাব পাশের প্রতিবাদেই বিনয় তামাং গোষ্ঠী পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিল। যদিও বিনয় তামাং আশ্বস্ত করেছেন এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হবে না। তবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ে বনধের ডাকের ফলে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘বিনয়-গুরুংদের বিজেপি মাঝে মাঝে উস্কানি দিচ্ছে। পাহাড়ের লোকসভা আসন থেকে পর পর বিজেপি আলাদা রাজ্য করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়েছে। বর্তমান সাংসদ রাজু বিস্তাও বলছেন, পাহাড়কে আলাদা রাজ্য করতে হবে। বিজেপির উস্কানিতে উদ্বুদ্ধ হয়েই হয়ত তাঁরা এই পথে হাঁটছেন।’ বিনয় তামাংকে যথেষ্ট বুদ্ধিমান বলেই মনে করছেন তিনি এবং বনধ হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে ব্যাখ্যা করছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ অবশ্য বিনয় তামাংদের এই বনধকে সমর্থন করছেন না। বললেন, ‘বিনয় তামাং-এর রাজনৈতিক অবস্থান ক্ষমতা কেন্দ্রিক। উনি ক্ষমতার বৃত্তের মধ্যে থাকতে চান। ওনার সঙ্গে পাহাড়ের মানুষের কোনও সংযোগ নেই। বিভিন্ন সময়ে তাঁর অবস্থান বদল, তাঁর বক্তব্যের উপর প্রশ্ন তুলে দেয়।’ উল্টে পাহাড়ের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকার জন্যই বিনয় তামাং-এর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন শংকর ঘোষ।