Ration Scam: লম্বা তালিকা নিয়ে শুভেন্দুর কাছে আসছেন শঙ্কর ঘোষ, রেশন দুর্নীতিতে কি নয়া মোড়?

Siliguri: সুকুমার বর্মন নামে এক ব্যক্তি উত্তরবঙ্গে খাদ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। চাকরি হারান তিনি। এরপরই হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার রেশ ধরে সামনে আসে বিমল রায়ের নাম। সুকুমার বলেন, "২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আমি নিয়োগ পাই। ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড নিয়ে কাজ শুরু করার পরই দেখি প্রচুর ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর এখানে যুক্ত। আমাকে চাপ দিয়ে ভুয়ো রেশন কার্ড বানাতেও বলা হয়েছিল।"

Ration Scam: লম্বা তালিকা নিয়ে শুভেন্দুর কাছে আসছেন শঙ্কর ঘোষ, রেশন দুর্নীতিতে কি নয়া মোড়?
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2023 | 4:58 PM

শিলিগুড়ি: এক বাকিবুরই নন, এরকম আরও বহু বাকিবুর জেলায় জেলায় ছড়িয়ে বলে অভিযোগ উঠছে। রেশন দুর্নীতির অভিযোগের অন্তর্তদন্তে নেমে টিভিনাইন বাংলা খোঁজ পেল শিলিগুড়ির বিমল রায় নামে এক রেশন ডিলারের। অভিযোগ, খাদ্যকে ‘খাদ্য’ করে বিপুল সম্পত্তির মালিকানা তাঁর। এমনও অভিযোগ, এই বিমল রায়ের উত্থান বাম আমল থেকে। বর্তমানে তিনি আরও ‘ক্ষমতাবান’। উত্তরবঙ্গের খাদ্য দফতরে তিনিই নাকি শেষ কথা। এই বিমল রায় সামনে আসতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। সিপিএমের দাবি, এই বিমলদের মতো লোকজনের অঙ্গুলিহেলনে কার্যত প্রশাসন চলে। অশোক ভট্টাচার্য বলছেন, এরা বর্তমান শাসকদলের ছত্রছায়াতেই বেড়ে ওঠা। অন্যদিকে এক সময় সিপিএমের নাম করা কাউন্সিলর বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, বাম আমল থেকেই এদের উত্থান। তাঁর দাবি, তালিকায় আরও নাম আছে। কলকাতায় যাচ্ছে সেই তালিকা।

সুকুমার বর্মন নামে এক ব্যক্তি উত্তরবঙ্গে খাদ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। চাকরি হারান তিনি। এরপরই হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার রেশ ধরে সামনে আসে বিমল রায়ের নাম। সুকুমার বলেন, “২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আমি নিয়োগ পাই। ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড নিয়ে কাজ শুরু করার পরই দেখি প্রচুর ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর এখানে যুক্ত। আমাকে চাপ দিয়ে ভুয়ো রেশন কার্ড বানাতেও বলা হয়েছিল। আমি তা করিনি বলে কাজ হারাতে হয়েছে। আমি হাইকোর্টে মামলাও করি।”

এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “এদের সঙ্গে শুধু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নন, শিলিগুড়ির আরও অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার ওঠাবসা আছে। এই বিমল রায়দের মতো লোকেদের নির্দেশে প্রশাসনটা চলে। বেআইনি জমির কারবার বিনিয়োগ চলে। আর সেই বিনিয়োগ আসে বেআইনি খাদ্য সামগ্রীর ব্যবসা থেকে টাকা পেয়ে।”

যদিও বিমল রায়ের বাড়বাড়ন্ত বাম আমল থেকেই মানছেন দীর্ঘদিন বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শঙ্কর ঘোষ বলেন, “তিনি বাম আমলেও প্রভাবশালী ছিলেন, এই আমলেও প্রভাবশালী আছেন। শোনা যায় ওনার প্রচুর সম্পত্তি। শুধু বিমল রায়ই নন, এরকম অনেকের নামই ইতিমধ্যে আমার কাছে এসেছে। আমিও কলকাতা যাচ্ছি। শুভেন্দুদাকে তথ্যগুলো দেব।” ইতিমধ্যেই বিমলের বাম-যোগ নিয়ে তরজা শুরু। তৃণমূলও সেদিকেই নিশানা সেধেছে। তৃণমূল নেতা বেদব্রত দত্তের বক্তব্য, “এদের সঙ্গে আমাদের দলের কী সম্পর্ক আছে? আমাদের দলের সঙ্গে এদের তো কিছু নেই।”