Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMCP Protest: ক্লাস করার নাম নেই, পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে! আজব ‘আবদার’ TMCP-র

TMCP: মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি কলেজে এমনই দৃশ্য দেখা গেল। পর্যাপ্ত উপস্থিতির হার না থাকার কারণে অনেক পড়ুয়াকে এবার পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই এবার বিক্ষোভ দেখাল রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন।

TMCP Protest: ক্লাস করার নাম নেই, পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে! আজব 'আবদার' TMCP-র
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2023 | 6:36 PM

শিলিগুড়ি: কলেজে ক্লাসের সময় পড়ুয়াদের দেখা মেলে না, অথচ পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে! আর সেই দাবিতেই এবার বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মঙ্গলবার সকালে শিলিগুড়ি কলেজে এমনই দৃশ্য দেখা গেল। পর্যাপ্ত উপস্থিতির হার না থাকার কারণে অনেক পড়ুয়াকে এবার পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই এবার বিক্ষোভ দেখাল রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন। জানা যাচ্ছে, শিলিগুড়ি কলেজের তৃতীয় ও পঞ্চম সেমেস্টারের বহু পড়ুয়া কলেজের ক্লাস ঠিকঠাক করেননি। প্রচুর ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। এমন অবস্থায় ক্লাসে টানা অনুপস্থিতির কারণে কড়া পদক্ষেপ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদে আজ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

বিষয়টি নিয়ে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এই কলেজ শিলিগুড়িবাসীর কাছে আবেগ। শুধু শিলিগুড়িই নয়, শিলিগুড়ির বাইরে থেকেও প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী এই কলেজে পড়তে আসে। প্রায় ৮০০-১০০০ ছাত্রছাত্রীকে আটকে দেওয়া হয়েছে উপস্থিতির হার কম হওয়ার জন্য।” পড়ুয়াদের যে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে, সে কথা মেনে নিয়েও ওই ছাত্রনেতার দাবি, যেহেতু পরীক্ষায় আটকে যাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা অনেকটাই বেশি, তাই তাঁদের যাতে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়, সেই আবেদন করা হয়েছে।

টিএমসিপি নেতা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কলেজের অনেক পড়ুয়াই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের থেকে উঠে এসেছে। অনেককেই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে টুকটাক কাজ করতে হয়। এমন অবস্থায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের আবেদন, যাতে পড়ুয়াদের একটি বছর নষ্ট না করা হয়।

যদিও কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ জানাচ্ছেন, পড়ুয়ারা এর আগেও একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সেই বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পড়ুয়াকে ছাড় দেওয়া হয়েছে পরীক্ষায় বসার জন্য। একাধিকবার কলেজের তরফে নোটিস দেওয়া হলেও উপস্থিতির হার ঠিকঠাক ছিল না এই পড়ুয়াদের। তারপরও প্রাথমিকভাবে যতজনকে আটকানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক পড়ুয়াকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষের দাবি,ছাত্র-ছাত্রীদের মুচলেকা দিতে হবে যে আগামী দিনে তাঁরা ক্লাসে উপস্থিত থাকবেন। না হলে এদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া যাবে না।