Firhad Hakim on Dilip Ghosh: ‘সুকান্তকে ছোট করতে দিলীপই বিজেপি ভাঙছেন’

Darjeeling: দলের আদি নেতা-কর্মীদের একাংশের অভিমত নতুন সভাপতিকে অনেকেই মানতে পারেননি। রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদার তো অভিযোগ করেইছেন যে দলে কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও তার ব্যতিক্রম নন।

Firhad Hakim on Dilip Ghosh: 'সুকান্তকে ছোট করতে দিলীপই বিজেপি ভাঙছেন'
দিলীোপকে তোপ ফিরহাদের, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2022 | 3:46 PM

শিলিগুড়ি: সামনেই রাজ্যের বকেয়া পুরনির্বাচন তো রয়েছেই। এছাড়াও রয়েছে, ভিন রাজ্যে একাধিক বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। সব মিলিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল এখন থেকেই নিজ নিজ প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির (BJP) অন্দরে হচ্ছে টা কী! সম্প্রতি যেভাবে একের পর এক বিরোধের ছবি সামনে এসেছে দলের অন্দরে, তাতে সামগ্রিকভাবে পদ্ম শিবিরের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বার বিজেপির অন্দরের কোন্দলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত রয়েছে বলে দাবি রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।

কলকাতার মেয়রের কথায়, “বিজেপির রাজ্য সভাপতি যবে থেকে সুকান্ত হয়েছে, তবে থেকে ওদের ঝামেলা। আসলে সবটাই দিলীপ ঘোষের কারসাজি। তিনিই বিজেপিকে ভেঙে দিচ্ছেন। এতদিন তিনি সভাপতি ছিলেন, কিন্তু এখন সুকান্ত সভাপতি হওয়ায় তা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁকে ছোট করাই জন্যই দিলীপবাবুই এই পন্থা বেছে নিয়েছেন।”

রাজ্যের মন্ত্রীর এমন বিস্ফোরক মন্তব্যে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বস্তুত, দলের আদি নেতা-কর্মীদের একাংশের অভিমত নতুন সভাপতিকে অনেকেই মানতে পারেননি। রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদার তো অভিযোগ করেইছেন যে দলে কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও তার ব্যতিক্রম নন। তিনি সরাসরি দিলীপ ঘোষের নাম করেই তোপ দেগেছেন। তাঁর একাধিক টুইটে স্পষ্ট দিলীপের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষের সামনে বিক্ষোভ করেছেন দলের কর্মীরাই। যা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।

খোদ দিলীপের সংসদীয় এলাকাতেও বিজেপির অন্দরের কোন্দল স্পষ্ট। খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার তাঁকে পরোক্ষে বা প্রত্যক্ষে বিরোধে জড়াতে দেখা গিয়েছে। শেষ এখানেই নয়, সাম্প্রতিক কালে জয়প্রকাশ মজুমদারকে দল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পর তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

দলীয় অবস্থানের বিরোধিতা করে একেবারে উল্টো সুর বিজেপির বর্যীয়ান নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের গলায়। সরাসরি রাজ্যপালকেই আক্রমণ করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতা। রাজ্য থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত- গোটা বিজেপি নেতৃত্ব যখন রাজ্যপালের পাশে, এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে একটা টুইটে রাজ্যপালের সমালোচনা করে জয়প্রকাশ তুলে দিয়েছেন একাধিক প্রশ্ন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ল দ্বিগুণ আর নিঃসন্দেহে এটা তৃণমূলের একটা বাড়তি পাওনা।

অন্যদিকে, নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপির অন্দরে বিক্ষোভ স্পষ্ট হয়েছে। জেলায় জেলায় দলের অন্দরে সুর চড়িয়েছেন নেতৃত্বরা। সম্প্রতি বাঁকুড়ায় জেলা সভাপতি ও দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক মন্তব্যও সামনে এসেছে। বিক্ষুব্ধ নেতারা একযোগে বনভোজনও করেছেন। স্পষ্টই বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি নন।

পরিস্থিতি যেরকম, তাতে শোনা যাচ্ছে অনেক ক্ষুব্ধ নেতানেত্রীর সংখ্যা খুব কম নয়। শুধু তাই নয়, পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়েও ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে বিজেপির অন্দরের পরিস্থিতি  এখন বেশ জটিল।  তবে বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে। কারণ, দলের অন্দরের এই ক্ষোভ দলেরই জন্য ক্ষতিকারক। বিশেষ করে সামনে যখন নির্বাচন রয়েছে। সেক্ষেত্রে ক্ষুব্ধ নেতৃত্বদের অনেককেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার কথাও চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু তাতেও বিরোধের শেষ কোথায়! বিশ্লেষকরা বলছেন, দলের অন্দরের বিরোধের কারণ সাংগঠনিক দৃঢ়তার অভাব কেবল নয়, সমন্বয়সাধনেরও অভাব, যার প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনেও।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা