Darjeeling : ঝালমুড়ি-চপ থেকে দক্ষিণ ভারতীয় খাবার, সঙ্গে নস্টালজিয়া, পাহাড়ে ক্যাফে হাউসের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
Darjeeling : চপ, ঝালমুড়ি থেকে সাউথ ইন্ডিয়ান বা কন্টিনেন্টাল সবই মিলবে এই ক্যাফে হাউসে। সঙ্গে নস্টালজিয়া। মান্না দের কালজয়ী নানা গান বাজবে।
দার্জিলিং: মাস তিনেক আগে পাহাড়ে এসে দার্জিলিং চৌরাস্তায় এক হোটেলে চা পান করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেইসময় তিনি বলেছিলেন, দার্জিলিঙেও গড়ে তোলা যেতেই পারে কফি হাউস। সঙ্গে থাকা শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরীকে নিজের ইচ্ছের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আর দেরি না করে রাজভবনের পাশেই দ্য রিট্রিটে তিনি গড়ে তোলেন ক্যাফে হাউস। আজ পাহাড়ে এসে সেই ক্যাফে হাউসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
একদিকে উন্মুক্ত সবুজ ও প্রকৃতির অপরূপ সজ্জা। দূরে দু’হাত তুলে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা আর সুসজ্জিত ক্যাফে হাউস। আজ থেকেই পর্যটকদের নতুন ঠিকানা হতে চলেছে বলে অনেকে বলছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এই ক্যাফে হাউসের উদ্বোধন করার পর শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, “চপ, ঝালমুড়ি থেকে সাউথ ইন্ডিয়ান বা কন্টিনেন্টাল সবই মিলবে এখানে। সঙ্গে নস্টালজিয়া। মান্না দের কালজয়ী নানা গান বাজবে এখানে।” ক্যাফে হাউসের সাজসজ্জায় তুলে ধরা হয়েছে বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতিকেই।
ক্যাফে হাউসের উদ্বোধনের পর সেখানে খোশমেজাজে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। ক্যাফে হাউসে বসে অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রবীন্দ্রসংগীতে গলা মেলান তিনি।
জিটিএ-র উদ্বোধনে উপস্থিত থাকতে গতকাল উত্তরবঙ্গে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সেখান থেকে একগুচ্ছ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “পাহাড় উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়। সেই কারণেই পাহাড় জিটিএ চায়।” আগামিদিনে রাজ্য সরকারের হাত ধরে পাহাড়ে শিল্প থেকে শিক্ষা, সবক্ষেত্রেই উন্নয়ন হতে চলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। উত্তরবঙ্গে আইটি ভিত্তিক কর্মসংস্থানের উপরও জোর দেন।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে এরিচমন্ড হিল থেকে চিড়িয়াখানার দিকে যাচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁর চোখে পড়ে একটি ফুচকার স্টল। আর দেখা মাত্রই সিদ্ধান্ত। সোজা ঢুকে পড়েন ফুচকার স্টলে। নিজে হাতে ফুচকা বানিয়ে খাওয়ান সবাইকে। তারপর ক্যাফে হাউসের উদ্বোধন করেন। সেখানেও খোশমেজাজেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।