Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

DA Protest: ‘ভিক্ষার দান চাই না’, তিন শতাংশ ডিএ ‘ফিরিয়ে’ চিঠি শিলিগুড়ির শিক্ষকের

Siliguri Teacher: সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষকের ক্ষোভ, “ভিক্ষার দান চাই না।” ডিএ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতাদের বক্তব্যের বিরক্ত তিনি।

DA Protest: ‘ভিক্ষার দান চাই না’, তিন শতাংশ ডিএ 'ফিরিয়ে' চিঠি শিলিগুড়ির শিক্ষকের
ডিএ ফিরিয়ে দেওয়া শিক্ষক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 01, 2023 | 4:53 PM

শিলিগুড়ি: ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের বিক্ষোভ চলছে রাজ্য জুড়ে। ধর্নার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সরকারি অফিসে পেন ডাউন কর্মসূচি চলতেও দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যের বাজেট অধিবেশনে সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ ডিএ-র ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও ক্ষোভের প্রশমিত হয়নি। সরকারের ঘোষিত তিন শতাংশ ডিএ ফিরিয়ে দিলেন শিলিগুড়ির এক স্কুল শিক্ষক। শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের শিক্ষক প্রবীর কুমার বর্মণ বুধবার সাফ জানিয়ে দেন সরকারের দেওয়া তিন শতাংশ ডিএ ফিরিয়ে দিচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গে সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষকের ক্ষোভ, “ভিক্ষার দান চাই না।” ডিএ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতাদের বক্তব্যের বিরক্ত তিনি। সেই বিরক্তি উগরেও দিয়েছেন ক্যামেরার সামনে। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

এ ব্যাপারে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের শিক্ষক প্রবীর কুমার বর্মণ বলেছেন, “২০১৬ থেকে সীমাহীন বঞ্চনা এবং যে প্রতারণা হয়েছে আমি তার প্রতিবাদ করছি। আমাদের প্রাপ্য ডিএ ৩৯ শতাংশ। সেখানে তিনি ৩ শতাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন না পোষালে ছেড়ে দিন। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করুন। এই চাকরি আমি চটি চেটে পায়নি, নিজের যোগ্যতায় পেয়েছি। ডিএ অধিকার। অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ভিক্ষার মতো ডিএ দিচ্ছে সরকার। সে জন্য আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ডিআই-কে ঘোষণাপত্র জমা দিয়েছি আমার বর্ধিত ৩ শতাংশ ডিএ দরকার নেই।” এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত বলেছেন, “আমার স্কুলের এক জন শিক্ষক বর্ধিত ডিএ নেবেন না বলে আমার কাছে চিঠি দিয়েছেন। ”

ডিএ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যের সমালোচনায় সরব সরকারি কর্মীরা। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার এক অনুষ্ঠানে ফিরহাদ বলেছিলেন, “আমার কাছে কোনটা প্রাধান্য হওয়া উচিত? যে লোকটা রেশন পাচ্ছেন না তাঁকে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দিয়ে তাঁর মুখে অন্ন তুলে দেওয়া, নাকি যিনি ৪০ হাজার টাকা বেতন পান তাঁর কেন ৬০ হাজার টাকা হচ্ছে না তা আগে দেখা? কেন্দ্রের সরকার যখন অনেক টাকা দিচ্ছে তাহলে সেখানে গিয়েই যোগ দিন।মাল্টিন্যাশনালের কোনও বাবু নই আমি। মানুষের করের টাকায় মাইনে দেওয়া হয়। মানুষের সেবা করাটাই আগে ব্রত হওয়া উচিত।” রাজ্য সরকারের চাকরি না ‘পোষালে’ কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র।