Bangladeshi Arrest: অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকে ফুলকপি বিক্রি করছেন দুই বাংলাদেশি
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে হুগলির মগরা বাজারে ফুলকপি বিক্রি করতে দেখা যায় অপরিচিত দুই যুবককে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা জানায়, তাঁদের বাড়ি কাকদ্বীপে। দিন মজুরের কাজ শেষে কিছু বাড়তি আয়ের আশায় বিকালে বাজারে পাশে বসে শীতের ফুলকপি বিক্রি করছেন।
মগরা: বাংলাদেশের বাসিন্দা তাঁরা। অবৈধ ভাবে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতে। তার পর চলেছিলেন হুগলি জেলার মগরায়। সেখানই ফুলকপি বিক্রি করছিলেন দুই যুবক। অচেনা ওই দুই যুবককে দেখে সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয় দোকানিদের। তাঁদেরকে দুই বাংলাদেশী যুবক জানিয়েছিলেন, তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে দিনমজুরের কাজ করতে এসেছেন। বাড়তি রোজগারের আশায় ফুলকপি বিক্রি করছেন। ইতিমধ্যে গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় দুই বাংলাদেশি যুবক ঢুকে পড়েছেন মগরায়। রবিবার দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকদের নাম বিপ্লব দাস এবং রতন দাস। তাঁদের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। দুজনেরই বয়স ৩০ বছর। ধৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করেছিল মগরা থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে হুগলির মগরা বাজারে ফুলকপি বিক্রি করতে দেখা যায় অপরিচিত দুই যুবককে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা জানায়, তাঁদের বাড়ি কাকদ্বীপে। দিন মজুরের কাজ শেষে কিছু বাড়তি আয়ের আশায় বিকালে বাজারে পাশে বসে শীতের ফুলকপি বিক্রি করছেন। প্রতি বছর এই সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিনমজুররা কাজ করতে আসেন। সেই ভেবে বাজারের ব্যবসায়ীরা আর কিছু বলেলনি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মগরা থানার পুলিশ দুই যুবককে বাজার থেকে তুলে নিয়ে যায় থানায়। তাঁদের কাছে কোনও পরিচয়পত্র ছিল না। তবে তাঁরা নিজেদের নাম বলে বিপ্লব দাস ও রতন দাস। বাড়ি জানায় বাংলাদেশের বন্দর শহর চট্টগ্রামে। পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়াই তাঁরা ভারতে প্রবেশ করেছে বলেও পুলিশি জেরায় শিকার করে নিয়েছে। বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কী উদ্দেশ্যে তাঁরা ভারতে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেছিল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।