Tarakeswar: নাবালিকার পেটে এ কী? ইউএসজি রিপোর্ট ঘিরে তোলপাড়
Tarakeswar: পরিবারের দাবি, নার্সিংহোমে গিয়ে জানতে পারেন ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নাবালিকার আত্মীয়রা। এরপরই তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ-এর অফিসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ওই ল্যাবেও। তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ সৌভিক দাস জানান, অভিযোগ হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রিপোর্টে পার্থক্য আছে, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হুগলি: আলট্রাসোনোগ্রাফি বা ইউএসজির রিপোর্টে গোলমালের অভিযোগ তুলে ব্যাপক ঝামেলা তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। ১১ বছরের নাবালিকার ইউএসজি রিপোর্টে ভুলের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা। অভিযোগ, তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের অধীনে থাকা পিপিপি মডেল ল্যাবে ভুল রিপোর্টে নাবালিকার চিকিৎসা করা হচ্ছিল। আর সেই চিকিৎসা চলছিল তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় ১১ বছরের ওই নাবালিকাকে।
এরপরই সেখানে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। আর তাতেই ধরা পড়ে, ওই নাবালিকার অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে গিয়েছে। পরিবারের দাবি, সেখানকার চিকিৎসকদের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয় ওই নাবালিকাকে। এখনও নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ওই নাবালিকা।
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালের অধীনে থাকা পিপিপি ল্যাব থেকে ভুল ইউএসজি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, মেয়ের লিভার বড় হয়ে গিয়েছে। আর সে কারণেই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে সে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটের যন্ত্রণার কারণে গত শুক্রবার তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তারকেশ্বর বাজিতপুরের ওই নাবালিকাকে। শনিবার সকালে ইউএসজির রিপোর্ট করতে বলেন হাসপাতালের চিকিৎসক। তা করানোও হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে শুরু হয় চিকিৎসা। তারপরই দেখা যায় এই ঘটনা।
পরিবারের দাবি, নার্সিংহোমে গিয়ে জানতে পারেন ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নাবালিকার আত্মীয়রা। এরপরই তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ-এর অফিসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ওই ল্যাবেও। তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ সৌভিক দাস জানান, অভিযোগ হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রিপোর্টে পার্থক্য আছে, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাবালিকার মা ইন্দু সাউয়ের কথায়, “শুক্রবার রাতে মেয়ের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা শুরু হয়। ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এরপরই রিপোর্ট করাই এখানে। রিপোর্ট পুরো উল্টো এসেছে। মেয়ের অ্যাপেনডিক্স ফেটে গিয়েছে, রিপোর্ট এসেছে লিভারের সমস্যা। এরপরই একজন বলেন, লিভারের সমস্যা এত যন্ত্রণা তো হওয়ার কথা নয়। বাইরে থেকে রিপোর্ট করাতে বলেন তিনি। তারপরই দেখি সেই রিপোর্ট আর হাসপাতালের রিপোর্টে কোনও মিল নেই। ওটি হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, রবিবার যা বলার বলবেন।”





