কমরেডরা অপরাধ করেছেন, বিরক্ত বিমান বসু

Biman Basu: করোনা পরিস্থিতিতে একটা ভবনের মধ্যে বেশিই কমরেডরা হাজির হয়েছেন। আবার তাদের অনেকের মুখে নেই মাস্ক। রবিবার শ্রীরামপুর রবীন্দ্র ভবনে রাজ্যের প্রাক্তন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী তথা সিপিএম এর রাজ্য কমিটির প্রয়াত সদস্য অধ্যাপক সুদর্শন রায় চৌধুরীর স্মরণসভায় অংশ নিতে গিয়ে এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু

কমরেডরা অপরাধ করেছেন, বিরক্ত বিমান বসু
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 4:08 PM

হুগলি: করোনা পরিস্থিতিতে একটা ভবনের মধ্যে বেশিই কমরেডরা হাজির হয়েছেন। আবার তাদের অনেকের মুখে নেই মাস্ক। রবিবার শ্রীরামপুর রবীন্দ্র ভবনে রাজ্যের প্রাক্তন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী তথা সিপিএম এর রাজ্য কমিটির প্রয়াত সদস্য অধ্যাপক সুদর্শন রায় চৌধুরীর স্মরণসভায় অংশ নিতে গিয়ে এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu)। তাঁর স্পষ্ট কথা, কাজটা ঠিক হয়নি। বিমানবাবুর এই মন্তব্যে কার্যত অস্বস্তিতে পড়েন উদ্যেক্তারা।

ঠিক কী হয়েছিল?

রবিবার রাজ্যের প্রাক্তন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী তথা সম্প্রতি প্রয়াত সুদর্শন রায় চৌধুরীর স্মরণে শ্রীরামপুর রবীন্দ্র ভবনে এক সভার আয়োজন করেছিল সিপিএম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। কিন্তু বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই বিমান বসু বলেন কাজটা ঠিক হয়নি। স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে উঠেই প্রবীণ বাম নেতার কথায়, “এই হলের মধ্যে যেভাবে স্মরণসভা হচ্ছে সেভাবে হওয়া উচিত নয়। অনেকেই মাস্ক পরে আছেন। কিন্তু কারও কারও মুখে মাস্ক নেই। এটা অপরাধ। তার কারণ সকলে করোনা কমাতে চাইছে, করোনার বৃদ্ধির কোনও কর্মসূচি আমরা নিচ্ছি না।”

বিমানবাবুর এই মন্তব্যের মধ্যেই সামনে বসা কমরেডরা একে অন্যের মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। ওই স্মরণ সভায় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। পরে অবশ্য উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা কোনও বড় মাঠ পাননি। তাই একরকম বাধ্য হয়ে হলে স্মরণসভা করতে হয়েছে। তবে বিমান বসুর মতো রাজনীতিবিদের এই বক্তব্যকে স্বাগতও জানিয়েছেন অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, যখন সারা দেশ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়ে ত্রস্ত, সেই সময়ে অনেকে নেতাকেই দেখা যাচ্ছে করোনা বিধি মানছেন না, মাস্ক পরছেন না, সেই সময়ে বিমান বসুর মতো রাজনীতিবিদ নিজের দলকর্মীদের তো বটেই, জনগণকেও বার্তা দিলেন।

এদিকে এ নিয়ে অনেক বাম সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, যে একমাত্র তাদের দলই করোনার কথা ভেবে উদ্বিগ্ন। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাজে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চলছে, সেখানে কোনওরকম করোনা বিধি মানার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কেরলের কান্নুরে হবে পার্টি কংগ্রেস। কিন্তু কেরলের করোনা পরিস্থিতি কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করছে সীতারাম ইয়েচুরি-প্রকাশ কারাতদের। তবে এই সম্মেলন প্রক্রিয়া থামিয়ে দিতে রাজি নয় আলিমুদ্দিন। কোভিড বিধি মেনেই শাখা থেকে রাজ্য পর্যন্ত সম্মেলন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিনও। নির্দেশে বলা হয়েছে, ৪৫ বছরের উপরে সকল প্রতিনিধির দু’টি করে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। টিকা নেওয়া না থাকলে সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করা যাবে না। আর ৪৫-এর নিচে সব সদস্যকে কমপক্ষে একটি টিকা নিতে হবে। এছাড়াও খোলামেলা জায়গায় দূরত্ববিধি মেনে প্রতিনিধিদের বসার ব্যবস্থা করতে হবে। আরও পড়ুন: বয়স ষাট পেরিয়েছে, স্রেফ একটা কথাতেই বহু তরুণীকে মুগ্ধ করেছেন! হোটেলেই কাজ হাসিল…