AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Amrut Water Project: আমরুত জল প্রকল্পে কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’, হাইকোর্টে মামলা দায়ের

Fraud Case: প্রলয় মিত্রের অভিযোগ, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার আমরুত প্রকল্পের ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ হতে গিয়ে দেখা যায় ১৪ টা টেন্ডার করা হয়েছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে।

Amrut Water Project: আমরুত জল প্রকল্পে কোটি টাকার 'দুর্নীতি', হাইকোর্টে মামলা দায়ের
আমরুত জল প্রকল্পImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2023 | 5:59 PM
Share

হুগলি: আমরুত জল প্রকল্পে টেন্ডার পাইয়ে দিয়ে কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ বাঁশবেড়িয়া পুরসভার বিরুদ্ধে। হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রলয় মিত্র। অভিযোগ অস্বীকার করে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর দাবি, “মিথ্যা অভিযোগ করছে। হাইকোর্ট থেকে কোনও সমন আমরা পাইনি। নথি কী আছে, তা দেখাক চ্যালেঞ্জ করছি।”

প্রলয় মিত্রের অভিযোগ, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার আমরুত প্রকল্পের ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ হতে গিয়ে দেখা যায় ১৪ টা টেন্ডার করা হয়েছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে। তিনটে টেন্ডারের নথি আছে,যে সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল, তাদের সে অর্থে কাজ পাওয়ার যোগ্যতাই নেই। পুরসভার ১,১২ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে যে তিনটে সংস্থা টেন্ডার পায়, তাদের কাজ শেষ হয়নি। তবুও পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রলয়ের অভিযোগ, কোটি টাকার উপর দুর্নীতি হয়েছে।

প্রলয়ের কথায়, “আমরা প্রশাসনের সবস্তরে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছি। পুরসভাকে এই অভিযোগের সদুত্তর দিতে বলেছিল। তা না দেওয়ায় আমি হাইকোর্টে যাই। হাইকোর্ট ১২ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন দিয়েছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভা তিন বছর আগে বলেছিল ঘরে ঘরে ২৪ ঘণ্টার জল পৌঁছে যাবে। কিন্তু এখনও তা হল না কেন?”

তাঁর দাবি, চেয়ারম্যানের কাছে তিনি আরটিআই করে জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার কোনও উত্তর দেননি চেয়ারম্যান।

আদিত্য নিয়োগী বলেন, “অভিযোগকারী পুরসভার একটি উদ্যানের গার্ড ছিলেন। আর্থিক তছরুপের জন্য এলাকার লোকের কাছে অনেক টাকা দেনা করে পালিয়ে যান। পরবর্তীকালে বিজেপির শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ হয়েছেন চার নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাসিন্দা। অভিযোগের কোনও বাস্তবতা নেই।”

তাঁর দাবি, আটটা জলের ট্যাঙ্ক হয়েছিল কেএমডিএ-এর তত্ত্বাবধানে। তৎকালীন পুরপ্রধান এবং আমরুত প্রকল্পের যিনি দায়িত্বে ছিলেন, সেই সম্রাট তালুকদারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরবর্তীকালে তাঁরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান। সেই জামিন এখনও পাননি।