Rachana Banerjee-Locket Chatterjee: সিঙ্গুরের দই ভাল বলেছিলেন রচনা, শুনেই লকেট বললেন…
TMC-BJP: শনিবার সিঙ্গুরে প্রচারে বেরিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেড়াবেড়িতে দিনমজুর মানিক বাগের বাড়িতে দুপুরের খাবার খান তৃণমূল প্রার্থী। মেনুতে ছিল,ভাত, বড়ি ভাজা, পটল ভাজা, শুক্তো, সবজির ডাল, বেগুনি, আলু পোস্ত, চাটনি, দই। সেই দই খেয়েই মুগ্ধ রচনা বলেন, ভাবছেন ব্যাগে করে দই নিয়ে যাবেন। একইসঙ্গে বলেন, যতবার আসবেন, ততবারই এখান থেকে দই নিয়ে যাবেন তিনি।
হুগলি: ভোটের হুগলিতে দই নিয়ে হইহই! সিঙ্গুরের দই খেয়ে গালভরা প্রশংসা করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কানে এ খবর পৌঁছতে খুব বেশি সময় লাগেনি। এরপরই রচনার উদ্দেশে লকেটের বার্তা, “আমি দই পাঠিয়ে দেব ওনার বাড়িতে।” তবে লকেটের মুখে দইয়ের কথা শুনে যতটা ‘মিষ্টি’ মনে হচ্ছে, ততটাও কিন্তু এ বার্তা মিঠা নয়। বরং খানিক কড়া-ই বলা চলে।
শনিবার সিঙ্গুরে প্রচারে বেরিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেড়াবেড়িতে দিনমজুর মানিক বাগের বাড়িতে দুপুরের খাবার খান তৃণমূল প্রার্থী। মেনুতে ছিল,ভাত, বড়ি ভাজা, পটল ভাজা, শুক্তো, সবজির ডাল, বেগুনি, আলু পোস্ত, চাটনি, দই। সেই দই খেয়েই মুগ্ধ রচনা বলেন, ভাবছেন ব্যাগে করে দই নিয়ে যাবেন। একইসঙ্গে বলেন, যতবার আসবেন, ততবারই এখান থেকে দই নিয়ে যাবেন তিনি।
রচনার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সিঙ্গুরে তো গরুই চড়ছে। ঘাস পাতাই হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্ষের বীজ ছড়িয়ে গিয়েছিলেন। সিঙ্গুরে তো কোনও শিল্প করেননি। তৃণমূলের প্রতিনিধি হয়ে সঠিকটাই বলেছেন রচনা। ওখানে গরু চড়ছে আর ঘাস খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে দুধ দিচ্ছে। সেই দুধে তৈরি হচ্ছে দই। আমি জেতার পর নিজে হাতে করে ওনাকে দই পাঠিয়ে দেব। শুধু এটুকু বলব, এটা বলুন কেন সিঙ্গুরে ঘাস হল, কেন টাটার কারখানা হল না আর কেনই বা চাষিরা চাষ করতে পারলেন না?”