Dankuni News: পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভাগ না মেলায় দাদা-বৌদির বিরুদ্ধে ধর্নায় বসলেন মহিলা

Hooghly: শেষমেশ ফলপ্রসু না হওয়ায় ন্যায্য পাওনার দাবিতে ধর্নায় বসলেন তিনি। যদিও দাদা-বৌদি গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ডানকুনিতে।

Dankuni News: পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভাগ না মেলায় দাদা-বৌদির বিরুদ্ধে ধর্নায় বসলেন মহিলা
ধর্নায় মহিলা (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Updated on: Oct 15, 2022 | 1:14 PM

ডানকুনি: দীর্ঘদিন ধরেই বাপের বাড়িতে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন মহিলা। পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভাগ না পাওয়ায় বারবার অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন তিনি। কাঠগড়ায় তুলছিলেন দাদা-বৌদিকে। শেষমেশ ফলপ্রসু না হওয়ায় ন্যায্য পাওনার দাবিতে ধর্নায় বসলেন তিনি। যদিও দাদা-বৌদি গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ডানকুনিতে।

হুগলির ডানকুনি পৌরসভার চামুণ্ডা মন্দির সংলগ্ন এলাকা। অভিযোগ, সেখানে শনিবার সকালে ধর্নায় বসেন পিয়ালী পাল। পিয়ালী দেবীর দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে দাদার সহযোগিতায় বৌদি পাপিয়া পাল মানসিক ভাবে অত্যাচার করে যাচ্ছেন তাঁর উপর। এমনকী বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে। বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সমাধান মেলেনি। সেই কারণে ধর্নায় বসলেন তিনি।

এ দিকে, দাদা সমীর পাল আবার দাবি করে বলেছেন, তাঁর বোন বিয়ের পর থেকেই অশান্তি শুরু করেছে। উল্টে তাঁদেরই বাড়িতে না থাকার হুমকি দিচ্ছেন।

আমার বাবা মারা গিয়েছেন। বাবার নিজস্ব বাড়ি। আমার ন্যায্য অধিকার রয়েছে এই বাড়িতে। আমার দাদার বৌ আমার উপর অত্যাচার করছে। আমায় ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি রবীন্দ্র ভারতী থেকে এমএ পাশ করেছিলাম। এখন আমায় রাস্তায় নামতে হয়েছে। প্রশাসনকে জানিয়েছি। পাড়া-প্রতিবেশী সব জানে। অনেক চিৎকার করেছি। পুরসভায় জানিয়েছি। পুরসভা পুলিশের কাছে পাঠাচ্ছে। পুলিশ বাড়িতে পাঠাচ্ছে। ২০২০ সালে করোনার সময় পুরসভাতেও অ্যাপ্লিকেসন দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’ অপরদিকে, ওই মহিলার দাদার বক্তব্য, ‘আমরা চার বোন দুই ভাই। কুড়ি বছর আগে বিয়ে করেছি। আমি বড়। আমি বোনেদের দায়িত্ব নিয়ে বিয়ে দিয়েছি। আমার বোন আর আমার মা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করছে আমার বৌয়ের উপর। বধূনির্যাতন করছে ওরা। আমি কোনও কাউন্সিলরকে কিছু বলিনি। থানায় গেছিলাম অফিসাররা আমায় বলে-বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে।’

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।