Unnatural Death: মাখলায় যুবক মৃত্যু ঘিরে চড়ছে পারদ, এবার পথে নামলেন এলাকার বাসিন্দারা

Hoogly News: এলাকার বিবাদে দশমীর রাতে প্রাণ হারান রোহিতরঞ্জন ঝাঁ নামে এক যুবক।

Unnatural Death: মাখলায় যুবক মৃত্যু ঘিরে চড়ছে পারদ, এবার পথে নামলেন এলাকার বাসিন্দারা
মাখলায় বিক্ষোভে এলাকার লোকজন। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2022 | 7:31 AM

হুগলি: দশমীর রাতে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে উত্তরপাড়ার মাখলায়। সেই যুবকের মৃত্যু হয় ১২ অক্টোবর। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, ঘটনার পর এতদিন কেটে গেলেও দোষীদের শাস্তি হয়নি। প্রতিবাদে সোমবার রাতে পথ অবরোধ করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দু’জন গ্রেফতার হলেও বাকিরা মুক্ত। দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে মোমবাতি হাতে এদিন রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানান এলাকার লোকজন।

অভিযোগ, দশমীর রাতে মারধর করা হয়েছিল মাখলার যুবক রোহিতরঞ্জন ঝাঁকে। ১২ অক্টোবর সকালে তাঁর মৃত্যু হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এলাকার লোকজনের দাবি, হাসপাতালেই জবানবন্দিতে অভিযুক্তদের নাম জানিয়েছিলেন রোহিত। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও বাকিরা এখনও অধরা বলে দাবি তাঁদের। দ্রুত এই গ্রেফতারির দাবিতে সোমবার সন্ধ্যায় মাখলা মাকালতলা টিএন মুখার্জি রোড অবরোধ করেন স্থানীয় ক্লাবের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা।

উত্তরপাড়ার ২১ নম্বর ওয়ার্ড মাখলা এলাকায় দশমীর রাতে স্থানীয় বিবাদ থেকে মারামারি হয় বলে অভিযোগ। সেই সময়ই রোহিতকে চার পাঁচজন ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উত্তরপাড়া থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। এরইমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে যায়। হাসপাতালের বেডে শুয়েই রোহিত বেশ কয়েকজনের নাম জানান পুলিশকে।

উত্তরপাড়া থানায় ১১ অক্টোবর এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের হয়। এদিকে ১২ তারিখ সকালে যুবকের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, “আমরাও তো সন্তানের মা। একটা সন্তানকে পিটিয়ে মেরে দিল। হত্যাকারী সমস্ত অভিযুক্তের শাস্তি চাই। পুলিশ না পারলে আমাদের হাতে ছেড়ে দিক। আমরা বুঝে নেব।” আরেক বিক্ষোভকারী পূজা বেরার কথায়, “দশমীর দিন ছেলেটাকে পিটিয়ে মারা হল। পুলিশ কী করছে? কেন এর কোনও বিচার করছে না? আমরা সেই দাবিতেই রাস্তায় নেমেছি।” চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি আগেই জানিয়েছিলেন এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।